টম ক্রুজ পারেননি, পারলেন এই নায়ক
Published: 21st, February 2025 GMT
টম ক্রুজও তাহলে ব্যর্থ হন! দীর্ঘ ক্যারিয়ারের নানা ধরনের সিনেমা করেছেন হলিউডের এই অ্যাকশন তারকা, সব সিনেমা বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি। সব নায়কের সব সিনেমা হিট হবে না, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। তবে ‘রিচার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমায় অভিনয় করে যেভাবে ডাহা ফেল করেছেন, সেটা টম ক্রুজ নামটার সঙ্গে ঠিক যায় না। সবাইকে চমকে দিয়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সিনেমায় ঝড় তুলেছেন তুলনামূলক কম পরিচিত এক নায়ক। কে তিনি? কেনই বা টম ক্রুজ ব্যর্থ হয়েছিলেন?
ব্রিটিশ লেখক লি চাইল্ডের উপন্যাসের চরিত্র জ্যাক রিচার। জনপ্রিয় এ চরিত্র নিয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৮টি উপন্যাস লিখেছেন চাইল্ড। এই সিরিজের প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালের মার্চে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ব্যাপক সাড়াজাগানো এই সিরিজের চলচ্চিত্রায়ণে সময় লেগে যায় ১৫ বছর! ২০১২ সালে মুক্তি পায় রিচারকে নিয়ে সিনেমা ‘জ্যাক রিচার’।
‘রিচার’ সিরিজের দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিন মাস অন্তর অন্তর বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) তথ্য জমা দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। সেখানে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নাম, পরিচয়সহ যাবতীয় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক।
আজ বুধবার এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
এর আগে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ এই ধরনের আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। তখন ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এসব তথ্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও অধিকতর সংশোধন করা হয়েছে।
নতুন সার্কুলার অনুসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য দেওয়া (রিপোর্টিং) ক্ষেত্রে তিন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠাতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের সিআইবি ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার ক্রম পুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া তিন মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের যাবতীয় দলিলপত্রও দিতে হবে। তৃতীয়ত, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের বিষয়ে ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটের সদস্যদের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস—এসব তথ্য দিতে হবে।
তিন মাস পরপর ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণসংক্রান্ত তথ্য কীভাবে দিতে হবে, এর নমুনা ফরম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি হলে নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে—এসব তথ্য দিতে হবে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে, এসব তথ্য দিতে হবে।