Samakal:
2025-03-25@20:47:12 GMT

বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশ

Published: 21st, February 2025 GMT

বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশ

অমর একুশে বইমেলার ২০ দিন পার হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রথম ২০ দিনে মেলায় বই বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশ। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি পাঠক-দর্শনার্থী সমাগমের প্রত্যাশা থাকলেও বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ঢাকার আবহাওয়া অফিস।

এ বছর মেলায় বিক্রি কেমন– জানতে চাইলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র স্টলের বিপণন কর্মকর্তা সঞ্জয় পান্ডে বলেন, ‘গতবারের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘লোকজন এসে বই দেখে। কিন্তু কেনার লোক কম।’

বিশেষ দিন কিংবা ছুটির দিনে মেলায় লোক সমাগম হচ্ছে। কিন্তু এর ঠিক উল্টো পিঠে রয়েছে প্রকাশকদের হতাশ মুখ। লোক সমাগম হলেও তারা খুশি হতে পারছেন না। এ হতাশার রেশ মিলল কবি প্রকাশনীর মালিক সজল আহমেদের কথায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্টলটা ফটোজেনিক হওয়ায় সমস্যা এবার বেড়েছে। একে তো বই বিক্রি কম। তার ওপর এক পাঠকের দেখতে থাকা বই নিয়ে ছবি তুলছে অন্যজন। এটা বিরাট সমস্যা। স্টলের সামনে যে পরিমাণ ভিড় থাকে, যদি একটা করে বই কিনত, তাহলে আমার পাঁচ-

ছয়বার বই ছাপতে হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেখি একুশে ফেব্রুয়ারি কেমন বিক্রি হয়। যদি বিক্রি তেমন না হয়, তাহলে বলা যাবে, করোনার পর সবচেয়ে ফ্লপ একটা বইমেলা পার করব আমরা। আমার স্টলে এই ২০ দিনে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ৪০ শতাংশ কম বই বিক্রি হয়েছে।’

গতকাল মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে একুশে ফেব্রুয়ারির একটা আগাম আমেজ দেখা গেছে। সাদাকালো পোশাকে অনেকে এসেছিলেন।
পুরো বইমেলার চরিত্রটা এ বছর ছবি তোলা, ভিডিও করা, ঘোরা এবং খাওয়ায় সীমাবদ্ধ বলে জানান শব্দশৈলীর প্রকাশক ইফতেখার আমিন। সমকালকে তিনি বলেন, ‘এত বছর ধরে বইমেলা করি, আমরা ক্রেতা চিনি। তারা প্রতি বছর আসেন। চেনা মুখগুলোকে এ বছর আর বইমেলায় দেখা যাচ্ছে না। শুধু ক্রেতা নন, লেখক ও প্রকাশকদের উপস্থিতিও কম। এখন যারা মেলায় ঢুকছে, তারা মূলত সেলফি তোলে ও আড্ডা দেয়। বইয়ের ক্রেতা নেই।’

আশা-নিরাশার দোলাচলে চন্দ্রবিন্দুর প্রকাশক মঈন ফারুক বলেন, ‘বৃষ্টি হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়ব। আর যদি না হয়, শেষ যে ক’টা দিন আছে, আশা করছি ভালো বিক্রি হবে।’

এবারের মেলায় অনন্যা থেকে প্রকাশিত হয়েছে সমকালের উপসম্পাদক মাহবুব আজীজের বই ‘উচ্চারণের বিপরীতে: ক্ষমতাকাঠামো ও গণঅভ্যুত্থান (২০২৪-এর আগে-পরে)’। গতকাল মেলায় আসে ১১২টি নতুন বই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– আহমাদ স্বাধীনের ‘মুখোমুখি শয়তান লুসিফার’ (কলি), সজল আশরাফের ‘ইলিশ ইলিউশনস’ (অন্যপ্রকাশ), শামিমা সুলতানার ‘মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য: নানা প্রসঙ্গ’ (ঐতিহ্য), জুবায়ের রশীদের ‘বুনোগন্ধের জীবন’ (ইলহাম), অর্পণ দত্তের ‘ঈশ্বর আছেন একা’ (খড়িমাটি)।

বিকেল ৪টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘ঔপন্যাসিক রশীদ করীমের উপন্যাসবীক্ষা: কয়েকটি প্রসঙ্গ’ আলোচনা অনুষ্ঠান। সুব্রত বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হামীম কামরুল হক। আলোচনায় অংশ নেন অনিরুদ্ধ কাহালি এবং সাখাওয়াত টিপু। হামীম বলেন, রশীদের উপন্যাসে মধ্যবিত্ত মানসের দ্বিধান্বিত ও অন্তর্দ্বন্দ্বময় স্বরূপের উন্মোচন ঘটেছে। আলোচকদ্বয় বলেন, আধুনিক সমাজে ব্যক্তির বিকাশের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো রশীদ করীমের উপন্যাসে প্রবলভাবে উপস্থিত হয়েছে। লেখক বলছি মঞ্চে আলোচনা করেন শাহাবুদ্দীন নাগরী এবং ইমরান মাহফুজ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন মো.

সোলায়মান চৌধুরী, লেলিনা আক্তার, শাহীন রিজভী, মো. আশরাফুল হক, তাজ ইসলাম প্রমুখ।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর আনসার

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। পার্বত্য অঞ্চলে ১৬টি আনসার ব্যাটালিয়নসহ সারাদেশে ৪২টি ব্যাটালিয়নের প্রতিটিতে ১ প্লাটুন করে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

মঙ্গলবার আনসার বাহিনীর উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করতে বাহিনীর পক্ষ থেকে কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশের প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্তত্য ৫৫ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্যকে অধিকতর সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নদীপথে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৬ মার্চ থেকে ঈদ পরবর্তী সময়ে দুই দিন পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চে চারজন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৫ মার্চ থেকে ৮এপ্রিল পর্যন্ত রেলপথে যাত্রীদের নিরাপত্তায় ৬৫০জন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভিডিপি সদস্যদের সক্রিয় রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ড সংঘটিত হলে তারা দ্রুততম সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ