Samakal:
2025-04-15@12:06:49 GMT

বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশ

Published: 21st, February 2025 GMT

বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশ

অমর একুশে বইমেলার ২০ দিন পার হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। প্রকাশকরা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রথম ২০ দিনে মেলায় বই বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশ। আজ একুশে ফেব্রুয়ারি পাঠক-দর্শনার্থী সমাগমের প্রত্যাশা থাকলেও বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ঢাকার আবহাওয়া অফিস।

এ বছর মেলায় বিক্রি কেমন– জানতে চাইলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র স্টলের বিপণন কর্মকর্তা সঞ্জয় পান্ডে বলেন, ‘গতবারের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘লোকজন এসে বই দেখে। কিন্তু কেনার লোক কম।’

বিশেষ দিন কিংবা ছুটির দিনে মেলায় লোক সমাগম হচ্ছে। কিন্তু এর ঠিক উল্টো পিঠে রয়েছে প্রকাশকদের হতাশ মুখ। লোক সমাগম হলেও তারা খুশি হতে পারছেন না। এ হতাশার রেশ মিলল কবি প্রকাশনীর মালিক সজল আহমেদের কথায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্টলটা ফটোজেনিক হওয়ায় সমস্যা এবার বেড়েছে। একে তো বই বিক্রি কম। তার ওপর এক পাঠকের দেখতে থাকা বই নিয়ে ছবি তুলছে অন্যজন। এটা বিরাট সমস্যা। স্টলের সামনে যে পরিমাণ ভিড় থাকে, যদি একটা করে বই কিনত, তাহলে আমার পাঁচ-

ছয়বার বই ছাপতে হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেখি একুশে ফেব্রুয়ারি কেমন বিক্রি হয়। যদি বিক্রি তেমন না হয়, তাহলে বলা যাবে, করোনার পর সবচেয়ে ফ্লপ একটা বইমেলা পার করব আমরা। আমার স্টলে এই ২০ দিনে বিগত বছরগুলোর তুলনায় ৪০ শতাংশ কম বই বিক্রি হয়েছে।’

গতকাল মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে একুশে ফেব্রুয়ারির একটা আগাম আমেজ দেখা গেছে। সাদাকালো পোশাকে অনেকে এসেছিলেন।
পুরো বইমেলার চরিত্রটা এ বছর ছবি তোলা, ভিডিও করা, ঘোরা এবং খাওয়ায় সীমাবদ্ধ বলে জানান শব্দশৈলীর প্রকাশক ইফতেখার আমিন। সমকালকে তিনি বলেন, ‘এত বছর ধরে বইমেলা করি, আমরা ক্রেতা চিনি। তারা প্রতি বছর আসেন। চেনা মুখগুলোকে এ বছর আর বইমেলায় দেখা যাচ্ছে না। শুধু ক্রেতা নন, লেখক ও প্রকাশকদের উপস্থিতিও কম। এখন যারা মেলায় ঢুকছে, তারা মূলত সেলফি তোলে ও আড্ডা দেয়। বইয়ের ক্রেতা নেই।’

আশা-নিরাশার দোলাচলে চন্দ্রবিন্দুর প্রকাশক মঈন ফারুক বলেন, ‘বৃষ্টি হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়ব। আর যদি না হয়, শেষ যে ক’টা দিন আছে, আশা করছি ভালো বিক্রি হবে।’

এবারের মেলায় অনন্যা থেকে প্রকাশিত হয়েছে সমকালের উপসম্পাদক মাহবুব আজীজের বই ‘উচ্চারণের বিপরীতে: ক্ষমতাকাঠামো ও গণঅভ্যুত্থান (২০২৪-এর আগে-পরে)’। গতকাল মেলায় আসে ১১২টি নতুন বই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– আহমাদ স্বাধীনের ‘মুখোমুখি শয়তান লুসিফার’ (কলি), সজল আশরাফের ‘ইলিশ ইলিউশনস’ (অন্যপ্রকাশ), শামিমা সুলতানার ‘মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য: নানা প্রসঙ্গ’ (ঐতিহ্য), জুবায়ের রশীদের ‘বুনোগন্ধের জীবন’ (ইলহাম), অর্পণ দত্তের ‘ঈশ্বর আছেন একা’ (খড়িমাটি)।

বিকেল ৪টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘ঔপন্যাসিক রশীদ করীমের উপন্যাসবীক্ষা: কয়েকটি প্রসঙ্গ’ আলোচনা অনুষ্ঠান। সুব্রত বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হামীম কামরুল হক। আলোচনায় অংশ নেন অনিরুদ্ধ কাহালি এবং সাখাওয়াত টিপু। হামীম বলেন, রশীদের উপন্যাসে মধ্যবিত্ত মানসের দ্বিধান্বিত ও অন্তর্দ্বন্দ্বময় স্বরূপের উন্মোচন ঘটেছে। আলোচকদ্বয় বলেন, আধুনিক সমাজে ব্যক্তির বিকাশের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো রশীদ করীমের উপন্যাসে প্রবলভাবে উপস্থিত হয়েছে। লেখক বলছি মঞ্চে আলোচনা করেন শাহাবুদ্দীন নাগরী এবং ইমরান মাহফুজ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন মো.

সোলায়মান চৌধুরী, লেলিনা আক্তার, শাহীন রিজভী, মো. আশরাফুল হক, তাজ ইসলাম প্রমুখ।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

শক্তিশালী সৌরঝড়ের আশঙ্কা

সৌরঝড় শব্দের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে নির্গত শক্তিশালী বিকিরণ ও চার্জিত কণার বিস্ফোরণের মাধ্যমে সৌরঝড় সৃষ্টির হয়। এই ঝড়ের সময় স্যাটেলাইট যোগাযোগ, জিপিএস, রেডিও তরঙ্গ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে থাকে। শিগগিরই আকারে বড় ও শক্তিশালী একটি সৌরঝড় বা সুপারস্টর্মের আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এতে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট দুর্যোগ বা অ্যাপোক্যালিপস দেখা যেতে পারে। যেকোনো মুহূর্তে বড় আকারের সেই সৌরঝড় পৃথিবীর ওপরে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।

১ হাজার ২৫০ বছর আগে সর্বশেষ বড় আকারের সৌরঝড় আঘাত হেনেছিল পৃথিবীতে। সেই ঘটনাকে মিয়াকি ইভেন্ট বলা হয়ে থাকে। পৃথিবীতে আঘাত হানতে যাওয়া সৌরঝড়টি অনেকটা মিয়াকি ইভেন্টের মতো হতে পারে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ম্যাথিউ ওয়েন্স বলেন, ‘আরেকটি মিয়াকি ইভেন্ট পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটাতে পারে। আপনি যদি মহাকাশ পদার্থবিজ্ঞানী হন তবে, তা আপনার জন্য উত্তেজনাপূর্ণ। যদিও এমন ঘটনা বিদ্যুৎ সরবরাহকারীদের জন্য উদ্বেগের। যদি আবার মিয়াকির মতো কোন ঘটনা ঘটে, তবে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা দেখতে হবে।’

আরও পড়ুনপৃথিবীতে আঘাত হানবে সৌরঝড়, কবে ও কখন০৩ অক্টোবর ২০২৪

সৌরঝড়ের কারণে জনজীবন থমকে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ম্যাথিউ ওয়েন্স। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বড় আকারের কোন সৌরঝড় আঘাত হানার ঘটনা আগে থেকে জানার সুযোগ বেশ কম। এমন কোন ঘটনা ঘটলে ১৮ ঘণ্টা আগে কিছুটা আন্দাজ করা যেতে পারে। ঝড়ের কারণে স্যাটেলাইট বিকল হলে অনেক সংকট তৈরি হবে। বিমান চলাচলে বিভ্রাট দেখা যাবে।’

১৮৫৯ সালে পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌর ঝড় আঘাত হেনেছিল। ক্যারিংটন ইভেন্ট নামে পরিচিত সেই ঝড়ের সময় আকাশে বিস্ময়কর অরোরা দেখা গেলেও সারাবিশ্বের টেলিগ্রাফ সিস্টেম বিকল হয়ে যায়। পৃথিবীতে আঘাত হানতে যাওয়া সৌরঝড়টি ক্যারিংটন ইভেন্টের চেয়েও ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী হতে পারে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

আরও পড়ুনঅরোরা সম্পর্কে জানতে চান বিজ্ঞানীরা২৮ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ