সরকারকে ২ দিনের আলটিমেটাম রাবি শিক্ষার্থীদের
Published: 21st, February 2025 GMT
ঢাকাকেন্দ্রিক আধিপত্য কমানোর মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে সরকারকে দুই দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া পিএসসি ও ইউজিসিতে রাবির শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়োগ না দেওয়ার প্রতিবাদ জানান তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান সজীব। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আপামর জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাই বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে কাঙ্ক্ষিত বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো এখন অবধি পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়নি। জুলাই বিপ্লবের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও জনগণের সর্বস্তরে বিভাজন লক্ষণীয়।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ, বিভিন্ন সংস্কার কমিশন, পিএসসি-ইউজিসিতে নিয়োগ দেওয়া হলো। এসব কিছুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকাকেন্দ্রিক একচ্ছত্র আধিপত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিপ্লব-পরবর্তী এমন অবিবেচনাপ্রসূত কার্যক্রম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। সেই সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের ক্ষেত্রগুলোতে ঢাবি ও ঢাকাকেন্দ্রিক আধিপত্য কমিয়ে দ্রুততম সময়ে সংস্কারের আহ্বান জানাচ্ছি।
মেহেদী সজীব বলেন, পিএসসি, ইউজিসিসহ সর্বক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানের দক্ষদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ পূর্ণ বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। পরিস্থিতি বিবেচনার জন্য আমরা সরকারকে দুই দিনের সময় বেঁধে দিচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা জারি
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায়। শনিবারও (২২ ফেব্রুয়ারি) এই আইন জারি রয়েছে সেখানে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার মধ্যনগর থানা কর্তৃক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে মধ্যনগর বাজারে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আক্রমণ সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে অপর পক্ষের লোকজন মধ্যনগর বাজারে অবস্থিত বিপক্ষ গ্রুপের একটি অফিসে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ নিয়ে যে কোনো সময়ে আইনশৃঙ্খলা অবনতিসহ সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মধ্যনগর বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি
১৪৪ ধারা জারি করায় অন্যস্থানে বিএনপির সমাবেশ
উল্লেখ্য যে, ১৪৪ ধারা জারিকৃত সময়ে উক্ত এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক লোকের একত্রে জটলা, সমাবেশ কিংবা যে কোনো ধরনের অস্ত্রবহন ও সন্দেহজনক ঘোরাফেরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
মধ্যনগর থানার ওসি সজীব রহমান বলেন, “মধ্যনগরের একটি ওয়ার্ডের যুবলীগের সহ-সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষের নেতা শহিদ মিয়া গ্রেপ্তারকৃতকে নিজের কর্মী দাবি করে থানায় এসে শোরগোল শুরু করেন। পরে থানা থেকে বের হয়ে মিছিল করেন তিনি ও তার সমর্থকরা। এসময় তারা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈয়ুম মজনুর অফিস ভাঙচুর করেন। তখন দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আমরা খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। পরে মজনুর লোকজন শহিদের অফিস ভাঙচুর করে।”
তিনি আরো বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবার পরামর্শে বাজার ও আশপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”