একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

রীতি অনুযায়ী রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধান উপদেষ্টার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপতি ১১টা ৫৯ মিনিটে শহীদ মিনারে আসেন। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমেদ খান, একুশে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং সদস্যসচিব সাইফুদ্দীন আহমেদ।  

আরো পড়ুন:

নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিলেন রাষ্ট্রপতি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাত ১২টা ১০ মিনিটে শহীদ মিনারে আসেন। তাকেও উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, একুশে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং সদস্যসচিব সাইফুদ্দীন আহমেদ অভ্যর্থনা জানান। 

প্রধান উপদেষ্টা রাত ১২টা ১৩ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা রাত ১২টা ১৬ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা এরপর পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।  

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তিন বাহিনীর প্রধান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শুরুতে সেনাবাহিনীর পক্ষে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১২টা ২২ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। বিমানবাহিনীর পক্ষে চিপ এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান। 

পরে ভাষাসৈনিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান।

একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজপথ ও দেয়াল বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। চারুকলার শিক্ষার্থীরা রাত-দিন খেটে রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিবাদের নানা ভাষা। শহীদ মিনারের বেদি, কালো রাজপথ, দেওয়াল হেসে উঠছে বর্ণিল আল্পনায়।

ঢাকা/হাসান/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক শ ফ ব র য় র র ষ ট রপত র ত ১২ট আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

স্কটিশ বেশে বাঙালি কাঁটা প্রিয়ানাজকে রুখে জ্যোতিদের জয়

পাকিস্তানে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ ২৭৬ রান করেছিল বাংলাদেশ। রেকর্ড রান করে বড় জয়ের সম্ভাবনাও জাগিয়ে ৩৪ রানে জিতেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

লোয়ার মিডলে স্কটল্যান্ডের বাঙালি ক্রিকেটার প্রিয়ানাজ চ্যাটার্জি কাঁটা হয়ে দাঁড়ান। তার সঙ্গে ফিফটি করেন নয়ে ব্যাট করা র‌্যাচেল স্লাটারও। তাদের রুখে স্কটল্যান্ডকে ৯ উইকেটে ২৪২ রানে আটকে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ১৭৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল নারী ক্রিকেটাররা। এরপর হারের শঙ্কায় পড়েও আয়ারল্যান্ডকে হারায় ২ উইকেটে। টানা তিন জয়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা জোরালো হলো।

মঙ্গলবার লাহোরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ওপেনিং জুটি না জমলেও ফারজানা হক ও তিনে নামা শারমিন আক্তার সুপ্তা ১০৩ রান যোগ করেন। শারমিন ফিরে যান ৭৯ বলে ৫৭ রান করে। সাতটি চার মারেন তিনি।

পরেই আউট হন ফারজানা। তার ব্যাট থেকে ৮৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংস আসে। ছয়টি চারের শট মারেন এই ওপেনার। এরপর নিগার সুলতানা ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের রান বড় করেন। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার ৫৯ বলে ৮৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট ১১টি চারের শট আসে। এছাড়া ঋতু মনি ১২ ও ফাহিমা খাতুন ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন।

জবাব দিতে নামা স্কটল্যান্ডের শুরু থেকে উইকেট নিতে থাকে বাংলাদেশ। ৩১ রানে তাদের ৩ উইকেট নিয়ে নেয়। ১০২ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। ১১০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় তারা।

সেখান থেকে আটে নামা স্কটল্যান্ডের হয়ে খেলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালী ক্রিকেটার প্রিয়ানাজ ও র‌্যাচেল ১১৫ রানের জুটি গড়েন। প্রিয়ানাজ ফিরে যান ৬৩ বলে সাত চারের শটে ৬১ রান করে। র‌্যাচেল হার না মানা ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের স্পিনার নাহিদা আক্তার ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। জান্নাতুল নেন ২ উইকেট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন, ঢাকার রাস্তায় আটকে গেলেন পার্থ বড়ুয়া
  • মা-বাবা হলেন তারকা দম্পতি
  • নেটিজেনরা ‘ধুয়ে দিচ্ছে’ পরিবারকে, বাস্তবতা ভিন্ন
  • রিশাদকে লাহোরের মালিক—আমি তোমাকে ভালোবাসি
  • বুলিং নিয়ে কি আগের চেয়ে অনেক বেশি সোচ্চার কিশোর–কিশোরীরা?
  • বন্দী করে টাকা আদায়, এরপর তোলা হয় মালয়েশিয়াগামী নৌকায়
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে বিএনপির প্রতিনিধি দল যমুনায়
  • সাইকেল নিয়ে ৬৪ জেলা ভ্রমণে ১৮ বছরের তরুণ, বায়ুদূষণ রোধের বার্তা
  • টানা তিন জয়ে বিশ্বকাপের আরও কাছে বাংলাদেশ
  • স্কটিশ বেশে বাঙালি কাঁটা প্রিয়ানাজকে রুখে জ্যোতিদের জয়