বগুড়ায় ‘কার্বন নিঃসরণ কমাও, বিশ্ব বাঁচাই’ স্লোগানে সাইকেল শোভাযাত্রা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের পরিবেশবাদী সংগঠন টিম ফর এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ (তীর) পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে এ আয়োজন করে।
সরকারি আজিজুল হক কলেজ চত্বর থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের সাতমাথা বীরশ্রেষ্ঠ চত্বর ঘুরে বনানী চত্বর প্রদক্ষিণ করে। কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে এ আয়োজন শেষ হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.

শওকত আলম মীর।
তীরের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হোসেন রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার পেছনে কার্বন নিঃসরণ দায়ী। মাত্রাতিরিক্ত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কার্বন নিঃসরণ ক্রমাগত বাড়ার কারণে নানাভাবে প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ওয়াহেদ সরকার, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, তীরের উপদেষ্টা শাহজাহান আলী, তনুশ্রী পাল, অরুপ রতন পাল, মতিউর রহমান, জুয়েলুর রহমান, উজ্জ্বল প্রামাণিক প্রমুখ। কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক র বন ন

এছাড়াও পড়ুন:

কলকাতা বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা

কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে মঙ্গলবার উদ্‌যাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। তীব্র দাবদাহের মধ্যেও শহরজুড়ে সকাল থেকে বের হয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের আয়োজনে পহেলা বৈশাখকে ‘বাঙালির জাতীয় উৎসব’ হিসেবে ঘোষণার দাবিও উঠেছে।

এর আগে সোমবার কলকাতার বাংলাদেশের উপ–হাইকমিশনে ঘরোয়া পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উৎসব উদ্‌যাপিত হয়। এ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা–কর্মচারী, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এবং কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ ছাড়া এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার সোনালী ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশ ও বেসরকারি বিমান সংস্থার কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মঙ্গলবারকে পালন করছে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে। পয়লা বৈশাখকে ‘বাঙালির জাতীয় উৎসব’ হিসেবে ঘোষণার দাবিও উঠে এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এদিন মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রধান আয়োজক সংগঠনটির প্রতিপাদ্য ছিল, ‘নতুন বছর হোক ধর্মের নয় মানুষের, বিচ্ছেদের নয় মিলনের।’

কলকাতার ভাষা ও চেতনা সমিতির উদ্যোগে নববর্ষ উপলক্ষে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একাডেমি অব ফাইন আর্টস চত্বরের রাণুছায়া মঞ্চে নাচ–গান, কবিতা পাঠ ও নাটক প্রদর্শিত হয়। এর আগে সোমবার বিকেল থেকেই কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টস চত্বরের সড়কে আলপনা আঁকে ভাষা ও চেতনা সমিতি। মঙ্গলবার সকালে অতিথিদের জন্য পরিবেশিত হয় পান্তাভাত-শুঁটকি, আমপোড়া শরবত, মাছ-ভাত, ডাল ও পোস্ত।

নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রায় আকর্ষণীয় নানা বেশে অংশ নেন মানুষ

সম্পর্কিত নিবন্ধ