জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের পূর্ণ প্যানেলে জয়
Published: 20th, February 2025 GMT
ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৫-২৬ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম পূর্ণ প্যানেল জয় পেয়েছে। সভাপতি হয়েছেন এ এইচ এম মাহবুবুস সালেকীন আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মো. আবু নাছের মজুমদার (মেজবাহ)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৫-২৬ সালের নবনির্বাচিত কার্যনিবাহী কমিটির নাম ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার মো.
নির্বাচনে সহসভাপতি পদে ওবায়েদুল হক সরকার ও সৈয়দ আবদুন নূর; কোষাধ্যক্ষ পদে মো. ওহাব হোসেন চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মো. শামীম মনি, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আবদুল বাছেদ মিয়া, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. রাশেদুল ইসলাম এবং ওয়েলফেয়ার সম্পাদক পদে মো. সামসাদ নির্বাচিত হন।
কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল মমিন মজুমদার, আবদুল ওয়াদুদ, মো. আবুবকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ আলমগীর কবির, মো. ইলিয়াছ উদ্দিন, মো. মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ মাসুদ আহম্মেদ, মো. মিজান উদ্দিন, মো. নুর উদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, ছিরাতুল জান্নাত স্বপ্না, জাহাঙ্গীর হোসাইন ও মো. মনজুর হোসেন পাটোয়ারী (পদাধিকারবলে)।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে।
আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনে অংশ নিতে তারা ফরম নিতে পারেননি। ফরম নিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ছিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি
বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগব, বললেন বিএনপির ফজলুর রহমান
মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ জানান, ২১টি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সবগুলোই উৎরে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
মনোননয়ন জমা দেওয়া ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মো. সিরু, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন এবং সদস্য আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।
সাতটি পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সদস্য শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ফরম নিতে পারিনি। দুপুর ও বিকেলে আমরা দুই দফায় সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছি।”
বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা ২১ জন ফরম নিয়েছি। অন্যরা ফরম না নিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের সৎ সাহস নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ