অপকৌশল করে নারী নেতৃত্ব সৃষ্টিতে বাধা দেন হাসিনা: সামান্তা শারমিন
Published: 20th, February 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, শেখ হাসিনা নারী নেতৃত্বের নামে নারীদের পিছিয়ে রাখার অনেক অপকৌশল করেছিলেন। সংরক্ষিত আসনের নামে নারী নেতৃত্ব তৈরিতে বাধা দিয়েছিলেন। দলীয় প্রয়োজনে কিছু মুখ ব্যবহার করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে নারী সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সামান্তা বলেন, ‘আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদিজাতুল কোবরার কথা জানি। বাকস্বাধীনতার কথা বলতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। নারীরা জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যেসব পুরুষ জেলে ছিলেন তাদের বাসার নারীদের ওপরেও জুলুম করা হয়েছে। এ কারণে আওয়ামী লীগ ও হাসিনার বিচার চাইছি।’
তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে পর্যাপ্ত নারীর উপস্থিতি নেই। কীভাবে নারীকে এই সেক্টরে যুক্ত করতে হবে সে বিষয়টি আমাদেরই বের করতে হবে। আমরা সংস্কারের কথা বলছি। সেই সঙ্গে বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছি। এখানে তিনটি অবৈধ নির্বাচনের পরে ফের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হতে পারে না। অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন আগে হতে হবে এবং সংবিধান পুনর্লিখন করতে হবে।’
সামান্তা বলেন, ‘আমাদের কোটা প্রয়োজন নেই। মেধার ভিত্তিতে বণ্টন নিশ্চিত করুন। মেধার ভিত্তিতেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘নারীর ভোট ও পুরুষের ভোটের আলাদা কোনো ক্ষমতা নেই। উভয়ের ভোট সমান গুরুত্ব বহন করে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নারী সেলের সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি সেলের সম্পাদক তাজনুভা জাবীন, শহীদ ও আহত সেলের সম্পাদক ডা.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ সুমাইয়ার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার দিলো মামুন মাহমুদ
মাত্র আড়াই মাসের ফুটফুটে কন্যা শিশুকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মায়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী পোশাককর্মী সুমাইয়া। কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হন তিনি।
এরপর থেকেই মা হারা হয়ে যায় শিশু সুবাইয়া। এখন তার পরিবার বলতে একমাত্র নানিই। তিনি এই সুবাইয়ার দেখাশোনা করছেন। মায়ের রেখে যাওয়া আড়াই মাসের সেই সুবাইয়ার বয়স এখন ১০ মাস।
আসছে ঈদুল ফিতরকে ঘিরে মানুষের মধ্যে আনন্দ-উৎসাহ থাকলেও শহীদ সুমাইয়ার পরিবারের মাঝে তার ছিটেফোঁটাও নেই। পরিবারটির মুখে হাসি ফোঁটাতে ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত বুধবার রাতে মিজমিজির পাইনাদী নতুন মহল্লায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এসময় কান্নায় চোখ ভিজে যায় সুমাইয়ার মা আসমা বেগমের।
মেয়ের শোকে প্রতিদিন কান্নায় তার চোখ ভিজে আসে উল্লেখ করে আসমা বেগম বলেন, আমার মেয়েটি কোনোদিন চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেনি। খুবই নম্র স্বভাবের ছিল। উচ্চস্বরে কখনো আমার সঙ্গে কথা বলেনি। সেই মেয়েটি আমার চোখের সামনে চলে গেলো।
আমি মা হয়ে কিছুই করতে পারিনি। তার রেখে যাওয়া মাত্র আড়াই মাসের বাচ্চাই এখন আমার স্মৃতি। আমার মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নাতনিকে আগলে রাখা দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, আড়াই মাসের সুবাইয়া এখন ১০ মাসের। সে শুধু তার মাকে খুঁজে। নাতনিটা মানুষের মুখের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই আমার নাতনির দায়িত্ব যেন নেয়।
তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদে খুশির আমেজ আমাদের পরিবারে নেই। শুধু আছে কান্না। নাতনির শরীরে আমার মেয়ে সুমাইয়ার গন্ধ খুঁজে পাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, শহীদ সুমাইয়ার হত্যার যেমন বিচার চাই, তেমনি তার পরিবারের যে দাবি, এটাও আমরা চাই।
আড়াই মাসের শিশুকে রেখে সুমাইয়া মারা গেছেন এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানেন। তিনিই আমাদের মাধ্যমে শিশুটির জন্য ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন।
এ শিশুটি যেন নিরাপদে থাকতে পারে এবং বড় হতে পারে, বিএনপি সব সময় পাশে থাকবে। বিএনপি যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, সে ক্ষেত্রে এ শিশুর অভিভাবকত্ব রাষ্ট্র ও বিএনপি গ্রহণ করবে।