সুন্দরবনে নৌকায় ৯০ কেজি হরিণের মাংস ফেলে পালালেন শিকারিরা
Published: 20th, February 2025 GMT
সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে হরিণ শিকার করে মাংস নিয়ে ফিরছিল শিকারির দল। বনের খাল ধরে তাঁদের নৌকা এগোচ্ছিল লোকালয়ের দিকে। এমন সময় সেখানে হাজির হন আগে ওত পেতে থাকা বনরক্ষীরা। তাঁদের দেখে নৌকার থাকা মাংসে ফেলে খালের মধ্যে লাফিয়ে সাঁতরে বনের গহিনে পালিয়ে যান হরিণশিকারিরা।
পরে নৌকা থেকে ৯০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করেন সুন্দরবনের খাঁশিটানা বন টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা। বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার কয়রার সুন্দরবনের ছেড়ারখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গহিন বন থেকে উদ্ধার করা হরিণের মাংস নিয়ে লোকালয়ে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া হরিণের মাংস আদালতে আনা হয়েছে। আদালত ভবনের পেছনে গর্ত খোড়া হচ্ছে। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন বনকর্মী। তাঁরা জানালেন, আদালতের নির্দেশে হরিণের মাংস কেরোসিন তেল মাখিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে।
সুন্দরবনের খাঁশিটানা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাদিকুজ্জামান বলেন, ‘সুন্দরবনের যে এলাকা থেকে হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে, সেটি আমার স্টেশনের আওতাধীন খাঁশিটানা বন টহল ফাঁড়ির এলাকা। ওই এলাকায় হরিণশিকারিদের উৎপাত বেশি। তবে আগের তুলনায় এখন বন্য প্রাণী শিকার কমে এসেছে। আজও হরিণের মাংস জব্দের ঘটনায় বিকেলে কয়রা জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন্য প্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। হরিণ নিধনে জড়িত ব্যক্তি ও হরিণের মাংস ক্রেতাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন দরবন র
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে জোভান-তটিনীর অ্যাডভেঞ্চার!
প্রেমিকাকে বিয়ের আসর থেকে তুলে সোজা সুন্দরবন নিয়ে যায় প্রেমিক! অথচ সেই প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে অন্তত এক বছর আগেই। এমন এক মজার গল্পে নির্মিত হলো সিএমভি’র ঈদের নাটক ‘ফিরে দেখা’।
মহিদুল মহিমের চিত্রনাট্য ও নির্মাণে এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন কামরুল ইসলাম শুভ।
এতে অভিনয় প্রসঙ্গে জোভান বলেন, ‘ফিরে দেখা’ অসাধারণ গল্পের একটি নাটক। দর্শক এই সময়ে যে ধরনের গল্পের নাটক দেখতে চায় এটি তেমনই। আশা করছি,নাটকটি দর্শকের পছন্দ হবে’।
নাটকটি সম্পর্কে নির্মাতার ভাষ্য এমন, ‘এটা প্রেমের গল্প। সুন্দরবন অ্যাডভেঞ্চারের গল্প। হারানো সম্পর্ক ফিরে পাওয়ার গল্প। ঈদ উৎসবে অন্যরকম একটা গল্প।’
নির্মাতা জানান, নাটকটির শুটিং হয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন লোকেশনে। ‘ফিরে দেখা’র প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ আয়োজনে সিএমভি’র ব্যানারে প্রকাশ হবে অন্তত ২০টি বিশেষ নাটক। যার শুরুটা হবে চাঁদরাত থেকে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।