বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের (১৯) মরদেহ আদালতের নির্দেশে উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাঁর পরিবার এতে বাধা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কবরস্থানে উপস্থিত হলে সুজয়ের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু মুছা ও ঢাকা জেলার সিআইডি ইন্সপেক্টর মাছুম।

এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুজয়ের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। তার লাশ দেখতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই সরকারের কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাইছি।

এ সময় সুজয়ের মামা মাজেদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেমন মরদেহ উত্তোলন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। সুজয়ের হত্যার বিচারও সেভাবে করা সম্ভব।

ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার একটি ভাড়া বাসায় তানজিল মাহমুদ সুজয় তাঁর বাবা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে থাকতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতোই গত ৫ আগস্ট খুব সকালেই যোগ দেন ছাত্র আন্দোলনে। দুপুরের পর শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজয় উৎসব পালন করা হয়। উল্লসিত জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে বাইপালে শহীদ হন সুজয়সহ ১১ জন। পুলিশ লাশগুলো ভ্যানের ওপর স্তূপ করে পুড়িয়ে দেয়। সুজয়ের আংশিক পুড়ে যাওয়া মরদেহ ৭ আগস্ট নিজ বাড়ি নবীনগরের বিটঘর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ২২ আগস্ট তাঁর মামা মাজেদুল হক আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু মুছা বলেন, আদালতের নির্দেশে শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করতে গেলে পরিবারের লোকজন অসম্মতি জানান। তাদের অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে লিখিত নিয়ে আমরা চলে আসি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কবর স জয় র পর ব র মরদ হ আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

কবরস্থানের জমি নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের দ্বন্দ্বে নিহত ১

নাটোরের বড়াইগ্রামে কবরস্থানের জমি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে নজিম উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হন আরো তিনজন। তাদের নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত নজিম উদ্দিন একই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন- নওপাড়া গ্রামের বন্দের আলী ছেলে ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), সিরাজ উদ্দিনের ছেলে ও ছাত্রদল কর্মী আরিফুল ইসলাম (৩৮) ও বাবু মিয়া (৪৫)। 

আরো পড়ুন:

হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, এমন কারো নেতৃত্বে আ.লীগের রাজনীতিতে বাধা নেই: রিজভী

ধামরাইয়ে বিএনপি নেতা হত্যার নেপথ্যে মাটি ব্যবসার বিরোধ

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে কবরস্থানের জমি নিয়ে বিএনপি নেতা গনি মিয়া ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলাও চলমান। আজ গনি মিয়ার ছেলে ওমর ফারুখ ও জামাই ফারুখ হোসেনের সঙ্গে জাহাঙ্গীর আলমের কথা-কাটাকাটি হয়।

এরই এক পর্যায়ে ওমর ফারুখ নজিম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করেন। এসময় তাকে উদ্ধার করতে এলে জাহাঙ্গীর আলম, আরিফুল ইসলাম ও বাবু মিয়াকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক নজিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যান্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বড়াইগ্রাম থানার কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কবরস্থানের জমি নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের দ্বন্দ্বে নিহত ১