আগস্টে শহীদ সুজয়ের লাশ তুলতে পরিবারের বাধা
Published: 20th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের (১৯) মরদেহ আদালতের নির্দেশে উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাঁর পরিবার এতে বাধা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কবরস্থানে উপস্থিত হলে সুজয়ের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ উত্তোলনে আপত্তি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু মুছা ও ঢাকা জেলার সিআইডি ইন্সপেক্টর মাছুম।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুজয়ের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আমরা শোকাহত। তার লাশ দেখতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই সরকারের কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাইছি।
এ সময় সুজয়ের মামা মাজেদুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেমন মরদেহ উত্তোলন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। সুজয়ের হত্যার বিচারও সেভাবে করা সম্ভব।
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার একটি ভাড়া বাসায় তানজিল মাহমুদ সুজয় তাঁর বাবা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে থাকতেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের মতোই গত ৫ আগস্ট খুব সকালেই যোগ দেন ছাত্র আন্দোলনে। দুপুরের পর শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিজয় উৎসব পালন করা হয়। উল্লসিত জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে বাইপালে শহীদ হন সুজয়সহ ১১ জন। পুলিশ লাশগুলো ভ্যানের ওপর স্তূপ করে পুড়িয়ে দেয়। সুজয়ের আংশিক পুড়ে যাওয়া মরদেহ ৭ আগস্ট নিজ বাড়ি নবীনগরের বিটঘর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ২২ আগস্ট তাঁর মামা মাজেদুল হক আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু মুছা বলেন, আদালতের নির্দেশে শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করতে গেলে পরিবারের লোকজন অসম্মতি জানান। তাদের অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে লিখিত নিয়ে আমরা চলে আসি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কবর স জয় র পর ব র মরদ হ আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
র্যাঙ্কিংয়েও সুখবর, ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ অবস্থানে নিগার, শারমিন ও রাবেয়া
ভালো খেলার স্বীকৃতি নগদেই পেলেন নিগার সুলতানা, শারমিন আক্তার ও রিতু মনি। পাকিস্তানে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করা অধিনায়ক নিগার ওয়ানডে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠেছেন।
ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠেছেন থাইদের বিপক্ষে ৯০ ছাড়ানো শারমিনও। আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে রিতু মনিও সামনে এগিয়েছেন। আর বোলিংয়ে ক্যারিয়ার–সেরা অবস্থানে উঠেছেন রাবেয়া খান।
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫২ রানের জুটি গড়েছিলেন নিগার ও শারমিন। নিগার করেছিলেন ১০১ রান। শারমিন অপরাজিত ৯৪ রান। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ করেছিল নিজেদের রেকর্ড ২৭১ রান। এরপর থাইল্যান্ডকে ৯৩ রানে অলআউট করে ১৭৮ রানে জেতে বাংলাদেশের মেয়েরা। রানের হিসাবে মেয়েদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এটাই সবচেয়ে বড় জয়।
পরের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫১ রান করা নিগার ১৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ১৭ নম্বরে। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ করা শারমিন ১১ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৯ নম্বরে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা রিতু ১৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৮৮ নম্বরে। রিতু ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ৫৭ নম্বরে উঠেছিলেন।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রাবেয়া খান সাত ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ২৩ নম্বরে। এটিই তাঁর সেরা অবস্থান। তিন ধাপ এগিয়ে ৪৮ নম্বরে উঠেছেন আরেক লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। পেসার মারুফা আক্তার ৬ ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ৬০ নম্বরে।
মেয়েদের ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর ব্যাটার দক্ষিণ আফ্রিকার লরা ভলভার্ট, বোলার ইংল্যান্ডের সোফি একলেস্টোন ও অলরাউন্ডার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ গার্ডনার।