সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে দুই পক্ষের গোলাগুলি
Published: 20th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ গোলাগুলি হয়। এরপর রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন জঙ্গল সলিমপুরে ছিন্নমূল এলাকার বাসিন্দা হাফেজ মোহাম্মদ ইমরান, তাঁর ভাই আবদুল কাইয়ুম, বাবা আবু তাহের এবং অপর পক্ষের বেলায়েত হোসেন।
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুটি পক্ষই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ছিন্নমূল ৬ নম্বর সমাজে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছিন্নমূল বস্তিবাসী সংগ্রাম পরিষদের অর্থ সম্পাদক হাফেজ মো.
সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে জঙ্গল সলিমপুর ৬ নম্বর সমাজ এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা খবর পেয়ে তাঁরা ওই এলাকায় যান। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা কাউকে পাননি। তবে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জেনেছেন, উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
এক পক্ষের নেতৃত্ব দেওয়া হাফেজ মোহাম্মদ ইমরান নিজে আহত হওয়ার কথা দাবি করে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন। হঠাৎ শুনতে পান সলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা রোকন উদ্দিনের অনুসারীরা তাঁর বাবাকে মারধর করেছেন। এ খবর পেয়ে তাঁরা দুই ভাই ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদেরও কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। বর্তমানে তাঁরা তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে জানতে সলিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা রোকন উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি ছিন্নমূল ৫ নম্বর সমাজের অন্ধ কলোনির মুখে মোহাম্মদ মাসুদ নামে বিএনপির এক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ছাড়া গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের লোকজনের ছুরিকাঘাতে নিজ বাড়ির সামনে মীর আরমান হোসেন নামে উপজেলা বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক নিহত হন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েদের পোশাকে ঈদের ধারা
মডেল: সারিকা সাবা, সাজ: অরা বিউটি লাউঞ্জ, পোশাক: শেষের কবিতা, ছবি: কবির হোসেন