সাফ জয়ী নারী ফুটবলাররা বৃহস্পতিবার একুশে পদক গ্রহণ করেছেন। একই দিন দুঃসংবাদও পেয়েছেন তারা। ওই দলের অধিকাংশ সদস্যকে বাদ দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের দল। ২৩ জনের এই দলের অধিকাংশ ফুটবলার কম বয়সী। ঘোষণা করা হয়নি অধিনায়কের নামও।  

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২৬ ফেব্রুয়ারি এবং ২ মার্চ দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেখানে অনুমেয়ভাবেই নেই সাফ জয়ী ও একুশে পদক গ্রহণ করা ও কোচের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিদ্রোহ করা ১৮ ফুটবলার। 

কোচকে বয়কট করা ঋতুপর্ণা চাকমা-মনিকা চাকমাদের মতো তারকারা এবার না থাকায় আফিদা খন্দকারের মতো তরুণদের হাতেই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ঝাণ্ডা দেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সিনিয়র সদস্যরা কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে বডি শেমিং, দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনেন। ইংলিশ কোচের অধীনে অনুশীলন করবেন না ঘোষণা দেন। বাফুফে সভাপতি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরও অনুশীলনে আসেননি তারা। তাদের বাদ দিয়ে তাই ঘোষণা করা হয়েছে নতুন চেহারার দল। 

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল : ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মেঘলা রায়, সুরমা জান্নাত, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, অর্পিতা বিশ্বাস, জয়নব বিবি, মরিয়ম বিনতে, কানোম আক্তার, হালিমা আক্তার, স্বপ্না রানী, ঐশী খাতুন, মুনকি আক্তার, তনিমা বিশ্বাস, বন্যা খাতুন, অয়ন্ত বালা, শাহেদা আক্তার রিপা, আইরিন খাতুন, মোসাম্মৎ সুলতানা, সুরভী আকন্দ প্রীতি, নবীরণ খাতুন ও আকলিমা খাতুন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ফ চ য ম প য়নশ প ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ স্লোগান, আটক ৩

স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধ’ স্লোগান দিয়ে ‘পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টার’ অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের মহাসচিব সিরাজগঞ্জ জেলার সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (৫০) ও আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট সোহেল পারভেজ (৪১)।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান কয়েকজন। এ সময় তারা হাতে লাল পতাকা নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আওয়ামী লীগ সন্দেহে ওই তিনজনকে আটক করে। 

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির বলেন, উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছিল কয়েকজন। এ সময় তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ