ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেছেন, সিলেটে এমসি কলেজের ঘটনা দেখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদের কথা মনে পড়ে। বুকে রক্তক্ষরণ হয়। খুলনা উপাচার্যের উপর একদল উশৃঙ্খল শিক্ষার্থী ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ বেশ ধরে লাঞ্ছনা ও হামলা করেছে। ৫ আগস্টের পর যে ঐক্যের সৃষ্টি হয়েছিল, সে ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য একটি গুপ্ত সংগঠন উঠেপড়ে লেগেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এমসি কলেজে এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও কুয়েট উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাবি ছাত্রদল। মিছিল শেষে ডাস চত্বরের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা-ওয়াজেদের সময়ে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ গেস্টরুম-গণরুম করে শিক্ষার্থীদের মিছিলে নিতে বাধ্য করত। আমরা ভেবেছিলাম, ৫ আগস্টের পর সে ধারাবাহিকতায় আর কেউ সুযোগ পাবে না। কিন্তু আমরা দেখলাম, সিলেটের এমসি কলেজে এক শিক্ষার্থী তার মনের আকাঙ্ক্ষা ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হোক, গুপ্ত না থেকে সবাই প্রকাশ্যে রাজনীতি করুক' মতামত দেওয়ার কারণে একাত্তরের পরাজিত শক্তি শিবির তাকে বেধড়ক মারধর করেছে। 

তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী হয়তো তাদের ভালোর জন্যই মতামত দিয়েছে। কিন্তু এটিকে সাদরে গ্রহণ না করে তারা ওই শিক্ষার্থীর রগ কাটার চেষ্টা করেছে। যখনই এই গুপ্ত সংগঠন অবাধে চলাচলের সুযোগ পায়, তখন সে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ট্রমার মধ্যে রেখে দেয়। 

ছাত্রশিবিরের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম, ২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ছাত্রশিবির জাতির কাছে প্রকাশ্য ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করবেন। কিন্তু তা না করে তারা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নামে-বেনামে দোকান খুলে বসেছেন। 

সাহস বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবসময় সজাগ থাকে। আপনারা যদি কোনো ভুলভাল করেন, তাহলে পরাজিত শক্তির মতোই প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনাদের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। 

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণের লক্ষ্যে শত শত ছাত্রদলের নেতারা জীবন দিয়েছে, গুম হয়েছে।  আজকে একটি গুপ্ত সংগঠন সেই চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। জুলাই-আগস্টের সেই চেতনাকে আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দিব না।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এখনই সচেতন থাকতে হবে। কেউ যদি জুলাই-আগস্টের এই চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অতীতের ন্যায় নিরাপদ ক্যাম্পাস বিনির্মাণের লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঢ ব ছ ত রদল গ প ত স গঠন ছ ত রদল র আগস ট র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ