কুয়েট উপাচার্যের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ঢাবি সাদা দলের
Published: 20th, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম ও অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার।
বিবৃতিতে সাদা দলের নেতারা বলেন, গত মঙ্গলবার একদল উত্তেজিত শিক্ষার্থী উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। একপর্যায়ে এই উচ্ছৃঙ্খল মব উপাচার্যের ওপর হামলা করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। হামলাকারীরা বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম এবং একটি গোপন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে বিরাজনীতিকরণের চক্রান্তে লিপ্ত গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র কুয়েট ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। উপাচার্যকে হেনস্তা করা তাদের সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ, যা ছাত্রলীগের ফ্যাসিবাদী আচরণেরই পুনরাবৃত্তি।
এমন অবস্থায় সাদা দলের নেতারা কুয়েট উপাচার্যের ওপর সহিংস আক্রমণের সুষ্ঠু তদন্ত এবং সেই সঙ্গে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এ সপ্তাহে গায়েব হয়ে যাবে শনির বলয়
এই সপ্তাহের শেষে শনি গ্রহের বিখ্যাত বলয় সাময়িকভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অদৃশ্য মানে হারিয়ে যাওয়া না কিন্তু, শনির বলয় আমাদের পৃথিবী থেকে কিছু সময়ের জন্য দেখা যাবে না। পৃথিবী ও শনি গ্রহের মধ্যবর্তী কৌণিক অবস্থানের কারণে আমরা একটি মহাজাগতিক বিভ্রম দেখতে পাই। এতে শনি গ্রহের বলয় আমাদের সামনে থেকে কিছুটা সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যাবে।
শনির বলয় অদৃশ্য হওয়ার জন্য শনি গ্রহের অবস্থান দায়ী। শনি গ্রহ এমনভাবে কাত হয়ে অবস্থান করছে যে মাঝেমধ্যে শনির বলয় গায়েব হয়ে যায়। শনির অক্ষ উল্লম্ব থেকে ২৬.৭৩ ডিগ্রি হেলানো। এভাবে শনি গ্রহ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আমাদের পৃথিবী ২৩.৫ ডিগ্রি হেলানো অবস্থায় সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। প্রতিটি গ্রহ তার নিজের অক্ষের ওপর ঘোরে ও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। মাঝেমধ্যে পৃথিবীর দিক থেকে শনির কৌণিক রিং অন্য প্রান্তে ঘুরে যায় বলে তখন মনে হয় শনির বলয় অদৃশ্য হয়ে গেছে। জ্যোতির্বিদ শন ওয়াকার বলেন, বলয় আক্ষরিক অর্থেই প্রায় অদৃশ্য হয়ে যায়। সাধারণত আপনি শনির চারপাশে রিং দেখতে পান। মাঝেমধ্যে আপনি একটি একক প্রান্ত দেখেন, তখন বলয়কে একটি চুল মতো পাতলা আলোর রেখার মতো দেখায়। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থলভিত্তিক টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যায় শনির বিশাল বলয় ক্রমেই পাতলা হয়ে উঠেছে। এ সপ্তাহের মধ্যে বলয়গুলো সুনির্দিষ্ট প্রান্তিক কোণে পৌঁছে গেলে বলয় কিছু সময়ের জন্য দেখা যাবে না। এ বিভ্রমটি অস্থায়ী।
এমন ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল বলা যায়। একে জ্যোতির্বিদেরা রিং প্লেন ক্রসিং নামে ডাকেন। সাধারণত দুবার দেখা যায় ২৯.৪ বছরে। শনি গ্রহ সূর্যের চারপাশে কক্ষপথ আবর্তনের সময় এমন ঘটনা দেখা যায়। পৃথিবী থেকে প্রতি ১৩ থেকে ১৫ বছরে এমন বলয় অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা একবার দেখা যায়। শনির এই বলয় পাথর ও বরফের বিলিয়ন বিলিয়ন ঘূর্ণমান খণ্ড দিয়ে তৈরি। তুলনামূলকভাবে সমতল হওয়ার কারণে দূর থেকে একক রিং মনে হয়। এ সময় বলয় দেখা না গেলেও শনির বিভিন্ন চাঁদ স্পষ্টভাবে দেখার সুযোগ মেলে। প্রায়ই শনির চারপাশে চার থেকে ছয়টি চাঁদ দেখা যায়। এ সময় অন্ধকার আকাশে একটি রিং প্লেন ক্রসিংয়ের সময় প্রায় এক ডজন চাঁদ শনাক্ত করা যায়।
এবারের রিং প্লেন ক্রসিংয়ের পরে পরবর্তী বলয় অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা ঘটবে ২০৩৮ সালে।
সূত্র: স্পেস ডট কম