সাতক্ষীরায় মেয়েকে পুড়িয়ে এবং মাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নুনগোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুজন হলেন হোসনে আরা খাতুন (৬৫) ও তাঁর নাতনি দুই মাস বয়সের আশ্রাফি। এর মধ্যে হোসনে আরা সদর উপজেলার নুনগোলা গ্রামের ধুলিহর ইউপির সাবেক সদস্য মৃত খোদাবক্স দালালের স্ত্রী এবং আশ্রাফি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশকালি গ্রামের আজাহারুল ইসলামের মেয়ে। গ্রেপ্তার হওয়া নারী শান্তা খাতুন নিহত হোসনে আরার মেয়ে ও আশ্রাফির মা।

শান্তার ভাবি নিলুফার ইয়াসমিন জানান, আজ দুপুরে শান্তা খাতুন (২৫) রান্না করছিলেন। এ সময় তাঁর মেয়ে আশ্রাফিকে চুলার মধ্যে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করার সময় তাঁর মা হোসনে আরা খাতুন বাধা দেন। এ সময় শান্তা তাঁর মা হোসনে আরাকে মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি এসে দেখেন শিশু আশ্রাফি পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে এবং তাঁর শাশুড়ি হোসনে আরা খাতুন মারা গেছেন।  

প্রতিবেশী আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী সখিনা খাতুন জানান, আজ বেলা দুইটার দিকে শান্তা তাঁদের বাড়িতে এসে বলেন, মেয়ে আশ্রাফিকে হত্যা করার পর তাঁর মা হোসনে আরা খাতুনকে তিনি হত্যা করেছেন। এ খবর শুনে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন শান্তার মেয়ে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে আর তাঁর মা হোসনে আরা খাতুনের মরদেহ ঘরে পড়ে রয়েছে।

ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কোরবান আলী জানান, তিনি ঘটনা শোনার পর সাতক্ষীরা সদর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে নানি ও নাতনির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শান্তা খাতুন মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ দুটি সাতক্ষীরা সদর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।

ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।

কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।

ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।

২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ