জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
Published: 20th, February 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় প্রতিটি সিটের বিপরীতে লড়বেন ৫১ জন ভর্তিচ্ছু।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৪৪ হাজার ২২৩ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ৫১ জন। শনিবার তিনটি শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা, দ্বিতীয় শিফট দুপুর ১টা থেকে ২টা এবং তৃতীয় শিফট বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
৪ বছর পর গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট নম্বর ১০০ এর মধ্যে ৭২ নম্বরের পরীক্ষা হবে বহুনির্বাচনি ও লিখিত প্রশ্নের ওপর। বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় থাকবে ২৪ নম্বর এবং লিখিত অংশের জন্য বরাদ্দ ৪৮ নম্বর। এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএর ভিত্তিতে যথাক্রমে ১২ ও ১৬ নম্বর গণনা করা হবে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি বুধবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে—ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট শুনানির জন্য আগামী বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
শুনানির জন্য বিষয়টি উত্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই দিন ধার্য করেন।
৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এই আদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। আজ সকালে আদালতে রিটের বিষয়টি উত্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রিট আবেদনকারী মো. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট২২ ঘণ্টা আগেপরে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিটের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে আদালত ২৩ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ৯ এপ্রিলের অফিস আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানসহ সাতজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে১২ এপ্রিল ২০২৫