বিশ্বকাপ ফাইনালের চুমু–কাণ্ডে রুবিয়ালেসের জরিমানা
Published: 20th, February 2025 GMT
২০২৩ নারী বিশ্বকাপ ফাইনালের বহুল আলোচিত চুমু–কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। স্পেনের উচ্চ আদালত আজ হেনি হেরমোসোকে যৌন হয়রানির দায়ে রুবিয়ালেসকে ১০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছেন।
তবে চুমুকাণ্ডে জরিমানা হলেও চাপপ্রয়োগের মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে সম্মতিবিহীন চুমুর জন্য এক বছর এবং চাপপ্রয়োগের জন্য দেড় বছরের কারাদাণ্ড চেয়েছিলেন।
২০২৩ সালের আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ফিফা নারী বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ফাইনাল শেষে পুরস্কারবিতরণী মঞ্চে ফুটবলাররা পদক নিতে উঠলে হেরমোসোকে চুমু খান মঞ্চে থাকা রুবিয়ালেস। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতির এই কাণ্ডে প্রথমে স্পেন, এরপর বিশ্ব ফুটবলাঙ্গনে তোলপাড় ওঠে। এ ঘটনার জেরে রুবিয়ালেসকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় ফিফা।
হেনি হেরমোসোর ঠোঁটে চুমু দেওয়াই কাল হলো লুইস রুবিয়ালেসের.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফেডের লোকসানের ধারা অব্যাহত, যদিও গত বছর কমেছে
গত বছর টানা দ্বিতীয় বছরের মতো অপারেটিং লস বা পরিচালন লোকসানের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ২০২৪ সালে তারা ৭ হাজার ৭৬০ কোটি ডলার লোকসান দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ফেড বলেছে, গত বছর লোকসানের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় কমেছে। ২০২৩ সালে ফেডের লোকসান হয়েছিল ১১ হাজার ৪৩০ কোটি। সর্বশেষ ২০২২ সালে ফেড মুনাফা করেছিল ৫ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার।
প্রতিবেদন অনুসারে, এই লোকসানের প্রধান কারণ ছিল ২০২০–২১ সালের কোভিড-১৯ মহামারি। এরপর ২০২২–২৩ সালে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়ে দীর্ঘ সময় উচ্চ পর্যায়ে রাখা হয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার কমাতে শুরু করে।
২০২৩ সালে সুদ বাবদ সংস্থাটির ব্যয় ছিল ২৮ হাজার ১১০ কোটি ডলার। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে যা ২২ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে সুদ বাবদ আয় ছিল ১৭ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিজনিত অনিশ্চয়তা বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে ফেডের সর্বশেষ বৈঠকে সুদহার ৪ দশমিক ২৫ থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলও সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপক অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করায় অনিশ্চয়তা ‘অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্যই নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসন ‘খুব বড়’ পদক্ষেপ নিতে চলেছে এবং এর ফলে দেশটিতে ‘ক্রান্তিকালীন সময়’ বা ‘বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। তবে তাঁর এসব পদক্ষেপের জেরে যুক্তরাষ্ট্র মন্দার কবলে পড়বে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন তিনি।
সবচেয়ে উদ্বেগের খবর, ফেব্রুয়ারিতে আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হলে মূল্যস্ফীতি বিপজ্জনক পর্যায়ে উঠে গেলে নীতি সুদহার আরও বাড়াতে হবে ফেডারেল রিজার্ভকে।