গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখিত হতে হবে : সামান্তা শারমিন
Published: 20th, February 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, গত ৩টি অবৈধ নির্বাচনের পরে আবারো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হতে পারে না। আরো একটি তথাকথিত নির্বাচন হতে পারেনা। অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন হতে হবে।
গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংবিধান পুনর্লিখিত হতে হবে। ক্যাম্পাসগুলোতে নতুন ধারার রাজনীতি চালু হয়েছে। আগামীতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হতে যাচ্ছে। নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় আসতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চুনকা মিলনায়তনে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এদিন জাতীয় নাগরিক কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী রাজনৈতিক বন্দোবস্তে নারীদের অংশগ্রহণ শীর্ষক’ এক নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম বলেছেন, আমাদের জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত কী হয়। প্রতিদিন রাতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় পরেরদিন সকালে কী রান্না হবে। বাড়ির পুরুষদের জিজ্ঞেস করবেন, তারা উত্তর দিতে পারবে না। তাহলে এসকল সিদ্ধান্ত নিতে পারলে পলিটিক্যাল ও দেশের সিদ্ধান্ত নেয়া তো এতটা কঠিন না।
নারীরা বাচ্চারা কীভাবে পড়বে কোন কোচিংয়ে পড়বে সেটা নারীরা ঠিক করতে পারলে, দেশের জন্য কোনটা সঠিক সে সিদ্ধান্তও নারীরা নিতে পারবে। নারীর ভোট ও পুরুষের ভোটের সমান ক্ষমতা। আপনাদের জানার প্রয়োজন নেই যে আপনাদের বক্তব্য কেউ শুনছে না। আমরা জনমত করতে গিয়ে নারীদের মতামত সবচেয়ে বেশি পেয়েছি।
নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনাদের যারা বাড়িতে আছে তাদের গিয়ে বলবেন এ কথাগুলো। ঘরে বসে বক্তব্য দিয়ে কাজ হয় না। কাজ হবে যখন আপনারা কথা বলবেন। রান্নাঘরে কাজ করতে করতেও আলেচনা করুন দেশ কোনদিকে যাচ্ছে তা নিয়ে।
আপনারা সরাসরি রাজনীতিতে আসুন। এর মানে এই না আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। ভোট দেয়াও একটি রাজনীতি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী বিষয়ক সেলের সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনা, মিডিয়া সেলের মুখপাত্র ও সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন, জাতীয় নাগরিক কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য শওকত আলী, আহমেদুর রহমান তনু।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র জন ত ন র য়ণগঞ জ র জন ত কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী পুত্রের পিএস ও একাধিক মামলার পলাতক আসামি হিরা গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গোলাম মতুর্জা পাপ্পার একান্ত সহকারী (পিএস) কামরুজ্জামান হিরাকে (৪৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার রমনা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার ( গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জে কামরুজ্জামান হিরা ছিল সাধারণ মানুষের জন্য মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পার ছত্রছায়ায় কামরুজ্জামান হিরা রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়, জমি দখলসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড চালাতো।
রূপগঞ্জের কিশোরগ্যাং চলতো তার নিয়ন্ত্রণে। হিরা কিশোর ও যুবক বয়সী ছেলেদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়াতে তাদের হাতে অস্ত্র ও মাদক তুলে দিতো। ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পল্টনে সাবেক মন্ত্রী গাজীর ব্যাবসায়িক কার্যালয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের পেটে গুলি করে হিরা।
এ ঘটনায় পল্টনের তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলাম হিরাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ভুলতা এলাকার ডায়মন্ড ব্রিকস টাইলস প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির সময় হিরাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ওই সময় মন্ত্রী গণমাধ্যমে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে হিরার সঙ্গে তাঁদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন। তবে কয়েকদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আবারো হিরা তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে থাকে।
নিরীহদের জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাট, আবাসন ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, পরিবহণ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে রূপগঞ্জে সকল সেক্টরের ছিল তার অবাধ বিচরণ। সাধারণ মানুষের কাছে হীরা কাচঁকাটা হিরা ও ডন হিরা নামেও পরিচিত। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে হিরা পলাতক ছিল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মেহেদী ইসলাম জানান, গোয়েন্দা পুলিশ হিরাকে গ্রেফতারের পর রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনসহ বেশকয়েকটি মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।