জামালপুরে বিএনপির সম্মেলনে দলবল নিয়ে হাজির যুবলীগ নেতা
Published: 20th, February 2025 GMT
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে পৌর যুবলীগের নেতা ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম দলবল নিয়ে হাজির হন। সম্মেলেন মাঠের এক পাশে দলবল নিয়ে তাঁর দাঁড়িয়ে থাকার একটি ছবি ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে।
নজরুল ইসলাম বকশীগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ও বকশীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র। তাঁর বড় ভাই মানিক সওদাগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। গত মঙ্গলবার বিকেলে বকশীগঞ্জ খয়ের উদ্দিন মাদ্রাসা মাঠে ১৬ বছর পর বকশীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মানিক সওদাগর। বড় ভাইয়ের পক্ষে লোকজন নিয়ে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম।
ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম সম্মেলন মাঠের পশ্চিম পাশে হলুদ রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা রঙের পায়জামা পরে দাঁড়িয়ে আছেন। আর তাঁকে ঘিরে ২০–৩০ জন যুবক দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন বিএনপির কর্মী জানান, সম্মেলনের দিন বেলা আড়াইটার দিকে দলবল নিয়ে মাঠে হাজির হন নজরুল ইসলাম। একই স্থানে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি সম্মেলনমঞ্চের নেতাদের বক্তব্য শোনেন। তাঁর উপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সম্মেলনস্থলের উত্তর পাশে শামিয়ানার বাইরে চলে যান তিনি।
বকশীগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম র য বল গ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে ছাত্রীর মৃত্যু, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্বজনদের ভিন্ন ভাষ্য
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার একটি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে এক শিক্ষার্থীর (১৩) মৃত্যু হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, বাড়ি যেতে না পারায় মেয়েটি লাফ দেয়। তবে স্বজনেরা দাবি করেছেন, এখানে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকতে পারে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি রাতেই জানাজানি হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মাদ্রাসার পাঁচতলার একটি জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় সে।
মাদ্রাসার মুহতামিমের ভাষ্য, ঈদের ছুটির পর সপ্তাহখানেক আগে ওই শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়। তবে মাদ্রাসার আবাসিকে থাকতে সে অনাগ্রহী ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সে তার মাকে ফোন করে বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে রাতে মাদ্রাসার একটি জানালার ফাঁক দিয়ে নিচে লাফিয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁরা কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করতে না পেরে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওই শিক্ষার্থীর মামা বলেন, তাঁরা চেয়েছিলেন ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করতে, তবে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। তাঁরা থানায় অভিযোগ করবেন। পুরো ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের দাবি জানান।
মেয়েটির এক স্বজন দাবি করেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। জানালার একটি বড় ফাঁক দিয়ে মেয়েটি নিচে পড়ে যায়। যদি গ্রিল সঠিকভাবে থাকত, এমনটা না–ও হতে পারত।
মাদ্রাসার মুহতামিম বলেন, ‘দিবাগত রাত তিনটার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি রাস্তায় মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে আমাকে ফোন করেন। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। জানালার ওই অংশে ফাঁক ছিল, তবে সেটি আগে তেমনভাবে আমাদের নজরে আসেনি।’
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জানালার একটি অংশে রডের ফাঁক আছে, সেটি বেশ বড়। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান দিয়েই মেয়েটি পড়েছে। তবে তদন্ত চলছে। মেয়েটির লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হবে। যৌন নিপীড়নের কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে। এখন পর্যন্ত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বা পরিবারের কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।