৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভা
Published: 20th, February 2025 GMT
ফতুল্লার হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১ টায় বিদ্যালয়ের হল রুমে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় আগামী ২০২৬ সালে বিদ্যালয়টির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে ৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফতুল্লার হরিহরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় নারায়ণগঞ্জের একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষাদানে ব্যাপক ভুমিকা রেখে আসছে। ১৯৭৬ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করা হয় বিদ্যালয়টি।
বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছেন। ২০০২৫ সালে হহিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি হবে।
এ উপলক্ষ্যে গতকাল বেলা ১১ টায় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ আলোচনা সভার আহ্বান করেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ লুৎফুন্নেছাসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন শতাধিক শিক্ষার্থী করনীয় বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সর্বশেষে সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপনে হাবিবুর রহমান লিটনকে আহ্বায়ক ও দিলীপ কুমার মন্ডলকে সদস্য সচিব করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি সর্ব সম্মতিক্রমে ঘোষণা করা হয়।
আহ্বায়ক কমিটি পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে রজত জয়ন্তীর ব্যাপারে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ৫০ বছর জয়ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
আনন্দ শোভাযাত্রায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-মীর মশাররফ-লালন, মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রায় দেখা মিলেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাংলা সাহিত্যের অমর কথা সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, ফকির লালন সাঁই, মুঘল সম্রাট আকবর, গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথসহ অন্তত ৩৮ জন বিখ্যাত মনীষীর। তবে তারা আসল নয়, ডামি। ডামি হলেও তাদের মাধ্যমে দারুণভাবে ফুটেছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের চেহারা ও অবয়ব। তাদের দেখে মুগ্ধ নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা।
এছাড়াও শোভাযাত্রায় বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের সচিত্র দেখা গেছে।
সোমবার সকালে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে এমন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল সাগে ৯টায় কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমি থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে উপজেলা প্রশাসন। আনন্দ শোভাযাত্রাটি হলবাজার, গণমোড়, থানামোড়, গোলচত্বর, উপজেলা সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে দই চিড়া খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমীর ১২৫ জন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী নেন এবং শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে কুমারখালী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রুহিনা ইসলাম প্রজ্ঞা বলেন, বৈশাখী শোভাযাত্রায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পিয়ারী সুন্দরী, কাজী মিয়াজান, মীর মশাররফ হোসেনসহ অসংখ্য মনীষীদের দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে।
কলেজ ছাত্র শুভ মোল্লা বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জাঁকজমক হয়েছে আয়োজন। বন্ধুরা মিলে খুবই আনন্দ করছি।
সুবর্ণা খাতুন নামের এক শিশু জানায়, পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানে নৃত্য করেছি। দই চিড়া খেয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।
প্রায় ১৮ ধরে বৈশাখের শোভাযাত্রায় মীর মশাররফ হোসেনের ডামি চরিত্রে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান মানু। তিনি বলেন, প্রতি বৈশাখে একই চরিত্রে থাকি। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগে। যতদিন বাঁচি, এ চরিত্রেই থাকতে চাই।
আধুনিকতার বাইরে এসে যেন বাংলা সংস্কৃতি ধরে রাখতে পারি। সেজন্য সম্রাট আকবরের ডামি সেজেছিলাম। কথাগুলো বলছিলেন চয়ন শেখ।
পরিচয় জানতেই 'বল বীর, বল উন্নত মম শির! শির নেহারি আমারই নত শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!' কবিতার কয়েকটি লাইন বলতে থাকেন পান্টি এলাকার মিলন হোসেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ডামি ছিলেন।
নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির ইতিহাস ঐহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের পরিচিত করতে রবীন্দ্রনাথ, মশাররফ, কাঙাল, বাঘা যতীনসহ ৩৮টি ডামি চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, ২৪ এর গণ অভ্যর্থান, প্যালেস্টাইনের চিত্র দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে জানান ডামি পরিচালক কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাস বলেন, আনন্দ শোভাযাত্রায় বিখ্যাত ব্যক্তি ও মনীষীদের চরিত্র দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। তা দেখে মুগ্ধ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। ডামি ছাড়াও চিড়া দই খাওয়া, সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।