ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০
Published: 20th, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের দুই দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ও গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের কামালদিঘী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় একটি পক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, মাদকের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে পুলিশের ভাষ্য, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। একটি পক্ষ ঘটনাটিকে ইয়াবা বড়ি বিক্রির ঘটনা সাজানোর চেষ্টা করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের রুবেল শাহ একজন মাদক ব্যবসায়ী। কয়েক দিন আগে রুবেলের কাছ থেকে একই গ্রামের শাফায়েত মিয়া কিছু ইয়াবা বড়ি কেনেন। পাওনা টাকা চাওয়ায় কিছুদিন পরপর তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। মাদক বিক্রির পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে গতকাল রাত ১০টার দিকে রুবেল শাহ ও শাফায়েতের এক স্বজন পারভেজ মিয়ার মধ্যে ফান্দাউক গ্রামের কামালদিঘী পাড়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়েন। সে সময় উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ ৩০ জন আহত হন। সেই সংঘর্ষের জেরে আজ বেলা ১১টার দিকে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় শাফায়েতের পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
সংঘর্ষের পর দুই পক্ষের আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
সংঘর্ষের বিষয়ে রুবেল শাহ অভিযোগ করেন, ‘আমার বড় ভাই নাইম শাহ পাশের বাড়ির শাফায়েত ও পারভেজের কাছে ৭০ হাজার টাকা পাওনা আছেন। টাকা ফেরত চাওয়ায় শাফায়েতের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালান। দুই দফায় হামলায় আমাদের ৭০ থেকে ৮০ জন আহত হয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে শাফায়েত মিয়া ও পারভেজ মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষে জাবিতে গাজার মানচিত্র এঁকে গণহত্যার অভিনব প্রতিবাদ
বর্ষবরণের দিনে নানা উৎসবে মেতেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরই মাঝে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে গাজার প্রতীকী মানচিত্র এঁকে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাবির একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনের মাঠে তারা এ মানচিত্র অঙ্কন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিএসসির সামনের মাঠে অঙ্কিত এ মানচিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে নিমার্ণাধীন ভবনের পরিত্যক্ত কংক্রিট। সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা রঙে। এছাড়া লাল রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে সেইসব অঞ্চল, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। মানচিত্রের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে ফিলিস্তিনের পতাকা। এছাড়া শান্তির প্রতীক হিসেবে রোপণ করা হয়েছে একটি জলপাই গাছ।
আরো পড়ুন:
জাবিতে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
জাবিতে চালু হলো ইলেকট্রিক কার্ট, কমবে দুর্ভোগ
দুপুর সাড়ে ১২টায় এই প্রতীকী মানচিত্রের উদ্বোধন ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ সময় প্রতিবাদ কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা ৪৮তম ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আজ আমরা যেমন আনন্দের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করেছি, তেমনি গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সেখানকার মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এই মানচিত্র নির্মাণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ আমরা চালিয়ে যাবো।”
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “এই আয়োজন আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবিক বোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং রাজনৈতিক সচেতনতার অনন্য দৃষ্টান্ত। একটি রাষ্ট্রের নিরীহ জনগণের ওপর যখন নির্বিচারে হামলা চলছে, তখন একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নীরব থাকা নয়, বরং প্রতিবাদ জানানোই দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। এই প্রতীকী মানচিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা ন্যায় ও মানবতার পক্ষে তাদের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী