ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি খাদ্য মজুত বাড়িয়ে সরকারি বিতরণব্যবস্থা সচল রাখতে এ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারতের এম বা এস বগাদিয়া ব্রাদার্স থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে খাদ্য অধিদপ্তর। প্রতি কেজি ৫৩ টাকা ২ পয়সা করে দরে এ চাল আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এর আগে কয়েক দফায় ভারত, পাকিস্তানসহ কয়েক দেশ থেকে কয়েক লাখ টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

বৈঠকে সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। একইসঙ্গে সার কারখানার জন্য ১০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ দুই ক্রয় প্রস্তাব ব্যয় ধরা হয়েচে ৩০৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়াও সার সংরক্ষণের জন্য দেশের চার জেলায় চারটি বাফার গুদাম নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৩৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ল আমদ ন চ ল আমদ ন হ জ র টন আমদ ন র অন ম দ ত হয় ছ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজের পরদিন শিশুর মুখ ঝলসানো লাশ উদ্ধার

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে নিখোঁজের এক দিন পর ৭ বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির মুখ ঝলসানো ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের এক ভুট্টাখেত থেকে পুলিশ বিবস্ত্র লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণ করে পরিচয় গোপন রাখার জন্য তার মুখাবয়ব অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। তার বাবা প্রবাসী।

বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। সারা রাত খোঁজার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে দিনমজুরেরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাড়ির থেকে ৩০০ গজ দূরের একটি ভুট্টাখেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেটা পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্যে। তাই আইন অনুসারে এ বিষয়ে মামলা চাটমোহর থানায় হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশ মাঠে নেমেছে। হত্যার কারণ বা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ