দুই দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারো বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। এবার ভরিতে ৩ হাজার ২৪৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৬ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ৪ হাজার ২০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়লেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৫৮৬ টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরো জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৫১ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১ হাজার ৯৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছর ৮ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৮ বারই। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স বর ণ র দ ম

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ২৭০০ ছাড়াল

মিয়ানমারে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের ২৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। একইসঙ্গে আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫০০ জনে। চার শতাধিক মানুষ এখনও ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন। 

বুধবার (২ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার ৯০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে থাকা এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে দমকল কর্মীরা। ওই নারীর বয়স ৬৩ বছর। তবে সময় যত যাচ্ছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভবনা ক্ষীণ হচ্ছে। 

ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা অভিযান অব্যাহত রেখেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। তারা বলেছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে মানুষের জন্য জরুরিভিত্তিকে আশ্রয়, খাদ্য ও পানি জরুরি। কিন্তু দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ চলায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কাছে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এক ভাষণে দেশটির সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, “ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ৭১৯ জনে পৌঁছেছে।”

স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ