ফতুল্লা থানার কাশীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি কামাল বেপারীর বিরুদ্ধে  চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না দেয়ায় জমির মালিক মনির হোসেনকে অকথ্যভাষায় গালাগালসহ হত্যার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনির বৃহস্পতিবার  ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মুসলিমনগর আদর্শপাড়া এলাকার মনির হোসেন দুই দশক আগে নরসিংপুর এলাকায়সাড়ে ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সেই জমিতে বাড়ি করার উদ্দেশ্যে ইট-বালুনিয়ে যান।

কিন্তু ট্রাক থেকে ইট নামানোর সময় কামাল বেপারীর নেতৃত্বে তার ছেলে হৃদয়, রাসেল(২২) সহ ৫/৬ জন সন্ত্রাসী ট্রাক থেকে ইট নামাতে বাধা দেয়। এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবিকরে। মনির হোসেন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে কামাল বেপারীসহ অজ্ঞাত নামা লোকজন তাকেঅকথ্য গালিগালাজ করে। 

তখন বাধা দিলে কামাল বেপারী তাকে হত্যার হুমকি দেয়।স্থানীয়রানাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৫ আগস্টের পর থেকেই কামাল বেপারী ওরফে গোয়াইল্লাকামাল বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার ছেলে, ভাগ্নে, ভাতিজাদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপকচাঁদাবাজি করছেন।

শ্যামল নামে এক যুবলীগ নেতার ফার্নিচারের দোকানে লুটপাটও করেছিল। এমন কি কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতনের মামার জমির ঝামেলা মীমাংসা করারকথা বলে জমির সামনে দেয়াল তুলে জমি দখলের চেষ্টা করে। 

এছাড়া বাড়ির সামনে অফিসনির্মাণের জন্য স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছে সে। বিএনপিনেতাকর্মীদের দাবি, বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে না থাকলেও শুধু মাত্র লবিং করে পদপাওয়া কামাল বেপারী এখন ‘ধরাকে স্বরা জ্ঞান’ করছেন।

দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাইনাসকরে নিজ স্বজনদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি-দখলবাজিতে মেতে উঠেছে। 

এমনকি স্থানীয়আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধেদলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিয়ে দলের বদনাম হবে। 

এব্যাপারে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু জানান, দলের নাম বা পদব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোরব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনাদিয়েছেন। যতো বড় নেতাই হোক না কেনো- অন্যায় করলে ছাড় দেয়া হবে না।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ভক্তদের ডাকে ফিরছে ‘অড সিগনেচার’

সিলেটে এক কনসার্টে যাওয়ার পথে গত বছর নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ব্যান্ড অড সিগনেচারের। এতে ব্যান্ডটির গিটারিস্ট ও ভোকাল আহাসান তানভীর পিয়াল ও মাইক্রোবাসের চালক আবদুস সালাম মারা যান। দুর্ঘটনায় আরও তিন ব্যান্ড সদস্য আহত হন। এরপর ব্যান্ডটির সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
বেশ কয়েক মাস ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংগীতবিষয়ক বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ভক্তরা নিয়মিতই ‘অড সিগনেচার’কে ফেরার আকুতি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু মানসিক ট্রমা ও পরিবার থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ফেরা হচ্ছিল না সদস্যদের। তবে এবার ভক্তদের জন্যই ফিরছে ব্যান্ডটি। চলতি মাসেই নতুন কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছে ‘অড সিগনেচার’।

ব্যান্ডটির কি–বোর্ডিস্ট ও ভোকাল অমিতাভ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ মাসেই ফিরছি। কবে ফিরছি, তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে এখন থেকে নিয়মিতই আমাদের পাওয়া যাবে। চলতি মাসের শেষেই সবকিছু জানা যাবে।’

গত পরশু ফেসবুক পোস্টে ‘অড সিগনেচার’–এর ফেরার ঘোষণা আপ্লুত করেছে ভক্তদের। মন্তব্যের ঘরে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘উদ্‌গ্রীব হয়ে অপেক্ষায় আছি, আমার প্রথম আবেগ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আপনাদের আবারও মঞ্চে দেখার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না।’ প্রয়াত ব্যান্ড সদস্য পিয়ালকে নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘পিয়াল ভাইকে অনেক মিস করব।’

২০১৭ সালে যাত্রা করে অড সিগনেচার, বিশেষ করে তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে ব্যান্ডটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ‘আমার দেহখান’ গান অড সিগনেচারের অনুরাগীদের ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের মুখে মুখেও ফেরে। এর বাইরে ‘ঘুম’, ‘প্রস্তাব’, ‘দুঃস্বপ্ন’, ‘মন্দ’ শিরোনামের গানগুলোও শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ