ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হচ্ছে
Published: 20th, February 2025 GMT
প্রতিবেশী ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের ডাকা আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে চাল সরবরাহের কাজটি পেয়েছে ভারতীয় কোম্পানি বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি টন চালের দাম পড়বে ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। শুল্ক-কর ছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় এই চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ৮ লাখ টাকা।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি যে অনুমোদন দেয় তার অংশ হিসেবেই এ চাল আমদানি হচ্ছে।
ক্রয় কমিটির প্রতিটি বৈঠকেই চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে, দেশের খাদ্য পরিস্থিতি আসলে কেমন, বৈঠক শেষে এমন প্রশ্ন করা হয় অর্থ উপদেষ্টাকে। জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এখন খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। একজন মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্যপণ্য থাকে। সেখানে একটা কমবে, একটা বাড়বে। মোটাদাগে তা সহনীয় পর্যায়ে আছে।
পাঁচ সপ্তাহ আগের তুলনায় ভারতীয় চালের দাম একটু কমেছে। গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। তখন চাল সরবরাহের কাজ পেয়েছিল ভারতের গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশন। প্রতি টনের দাম ছিল ৪৫৪ দশমিক ১৪ মার্কিন ডলার। তাতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশের প্রায় ২৭৭ কোটি টাকা।
তবে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুর থেকে যে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছিল, তাতে ব্যয় ধরা হয় ২৬৫ কোটি ২১ লাখ টাকা, যা সরবরাহ করবে সিঙ্গাপুরের অ্যাগ্রো কর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই, এলটিডি। তখন প্রতি টন চাল ৪৩৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার দরে কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৫০ হ জ র টন চ ল আমদ ন র উপদ ষ ট কম ট র টন চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দিন-রাত ব্যস্ততা সেমাইপল্লিতে
পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্যস্ত রাজবাড়ীর সেমাইপল্লি। রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে সেমাই পৌঁছে দিতে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ পল্লিতে সেমাই তৈরি করা হচ্ছে।
সেমাইয়ের গুণগত মান ঠিক রাখতে নিয়মিত তদারকি করছেন মিল মালিক ও বিসিক কর্মকর্তারা। মান ভালো হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর,
মাগুরা, ঝিনাইদহসহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি জেলার বাজারে যাচ্ছে এ সেমাই।
রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর কয়েকটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ঈদের বাজার ধরতে কর্মমুখর সেমাই কারখানাগুলো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রমিকরা সেমাই তৈরির কাজ করছেন। বস্তা থেকে আটা মেশিনে ঢেলে মেশানো হচ্ছে। এরপর মেশিনের সাহায্যে সুতোর মতো সেমাই তৈরির পর, রোদে শুকিয়ে আগুনের তাপে ভেজে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। সবশেষে সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়।
রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থিত দ্বীন ফুড প্রোডাক্টস কারখানার ম্যানেজার আব্দুস ছাত্তার জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তারা সেমাই তৈরি করেন। তাদের নিজেদের মিল থেকে ময়দা দিয়ে বানানো হয় সেমাই। প্রতিদিন বিশ মণ সেমাই তৈরি করেন তারা। তাদের উৎপাদিত সেমাই রং ও কেমিক্যালমুক্ত হওয়ায় চাহিদা রয়েছে বেশ। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় এখন দম ফেলার সময় নেই তাদের। রাজবাড়ীর চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলার বাজারে সরবরাহ করা হয়ে থাকে তাদের সেমাই।
শ্রমিক নাফিজা খাতুন জানান, সকাল ৮টায় এসে সারাদিন বিরতিহীন কাজ করে রাত ৯টার দিকে
বাসায় ফেরেন। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় তাদের কাজের চাপও বেড়েছে।
আরেক শ্রমিক ফুলজান বেগম জানান, তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে হাতে গ্লাভস পরে কাজ করেন। মিল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন।
রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক চয়ন বিশ্বাস বলেন, রাজবাড়ীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় তিনটিসহ জেলায় মোট চারটি কারখানায় প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১৫শ কেজি সেমাই তৈরি হচ্ছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মালিক ও শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত বিধিমালা মেনে যেন তারা সেমাই তৈরি করেন। যদি কেউ নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।