যে স্বপ্নে ‘নতুন করে হাঁটা শিখেছেন’ শামি
Published: 20th, February 2025 GMT
তাঁর প্রথম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন বাংলাদেশের ওপেনার সৌম্য সরকার। আরও একটি আইসিসি টুর্নামেন্টে উইকেট পেলেন মোহাম্মদ শামি। পরে জাকের আলীকে ক্যাচ বানিয়ে গড়লেন ওয়ানডেতে দ্রুততম ২০০ উইকেটের কীর্তিও। মাইলফলকের এসব উইকেটের উদ্যাপনে হয়তো দীর্ঘ এক পুনর্বাসনের স্মৃতিও মনে পড়েছে শামির।
২০২৩ সালের শেষ দিকে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। শামি এরপর যে চোটে পড়লেন, সেরে উঠতে উঠতে কেটে গেছে ১৪ মাস। দীর্ঘ এই যাত্রায় যন্ত্রণা, অপেক্ষা যেমন ছিল, ছিল শঙ্কাও। তা কেমন শঙ্কা?
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আইসিসি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামি জানিয়েছেন, তাঁর নাকি মনে হচ্ছিল, আদৌ কখনো হাঁটতে পারবেন কি না! ‘মনে হতো বাচ্চাদের মতো নতুন হাঁটতে শিখছি। সব সময় ভাবতাম, কখন পা মাটিতে রাখতে পারব। যে মাঠে নিয়মিত দৌড়ে বেড়াত, তাকে কিনা হাঁটতে হচ্ছে ক্রাচে ভর করে!’
আরও পড়ুন১৪ মাস পর ভারত দলে ফিরলেন শামি১১ জানুয়ারি ২০২৫গোড়ালির চোটে পড়ার পর ২০২৪ সালের মার্চে অস্ত্রোপচার হয় শামির। এরপর হাঁটুতেও সমস্যা দেখা দেয়, নতুন করে আটকে যায় ক্রিকেটে ফেরা। এরপর বাংলার হয়ে ঘরোয়া লিগে পারফর্ম করে ফিরে আসেন জাতীয় দলেও। ইংল্যান্ড সিরিজে ভালো করার পর এসেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে।
সতীর্থদের সঙ্গে শামির উইকেট উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুক দেখে জানলেন তিনি খুন হয়েছেন, এরপর যা ঘটল
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের আজিমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন কয়েক দিন আগে হঠাৎ জানতে পারলেন, ফেসবুকে তাঁকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে একটা আইডি থেকে। বলা হচ্ছে, তিনি খুন হয়েছেন। ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তি পোস্ট দিয়ে এমন দাবি করায় তিনি থানায় গিয়ে পুলিশকে জানান। পরে বাড়ি ফিরে দেখেন ওমর ফারুক তাঁর বাড়িতে অবস্থান করছেন। এরপর পুলিশকে জানালে পোস্টদাতাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, দুই দিন ধরে নিজের আইডি থেকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুক (৩৫) এমন পোস্ট দিচ্ছিলেন। গতকাল শুক্রবার শাহাদাত হোসেন পোস্টদাতা ওমর ফারুককে ধরে পুলিশে দেন। থানায় ইতিমধ্যে ফারুকের বিরুদ্ধে ছয়টি প্রতারণার মামলা করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী।
ওই পোস্টে ওমর ফারুক লেখেন, ‘আজিমপুরে হত্যাকাণ্ড! বিএনপি নেতা ফারুক আজিমপুরের শাহাদাত হোসেনকে ছুরিকাহত করে হত্যা করে পালিয়ে যান। তাঁকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।’
ওমর ফারুক দেশি একটি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করতেন বলে জানা গেছে। সংস্থাটির স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৮ সাল থেকে তিনি ওই সংস্থায় কাজ করছিলেন। তাঁর গতিবিধি ভালো না লাগায় গত বছরের নভেম্বরে তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করা হয়েছে। ফারুকের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন জানিয়েছেন, বছরখানেক আগে থেকে তিনি অনলাইন জুয়ায় (বেটিং সাইট) জড়িয়ে পড়েন। এর পর থেকেই ফারুক নানা ছদ্মবেশ ধারণের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিতে শুরু করেন।
ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন জানান, ফারুক তাঁর পরিচিত। তাঁর নামে কাল্পনিক পোস্ট দেওয়ার বিষয়টি তিনি ফেসবুকে দেখেছেন। গতকাল বিষয়টি তিনি থানায় জানিয়ে বাসায় ফিরে দেখতে পান, ফারুক তাঁর ঘরে অবস্থান করছেন। পরে পুলিশকে জানালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক আইডি হ্যাক করে কেউ এই পোস্ট দিয়েছে। তিনি এর সঙ্গে জড়িত নন।
এখন পর্যন্ত ফারুকের বিরুদ্ধে ছয়টি প্রতারণার মামলা হয়েছে বলে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম সফিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফারুক অনলাইন জুয়ায় আসক্ত। আগের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।