মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয়ে ৪০ বছর পার করেছেন ফারুক আহমেদ। তবে অভিনয় জীবনের হুমায়ূন আহমেদের নাটক দিয়ে দর্শকমহলে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। সেই সুবাদেই হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে সম্পর্কও ছিল নিবির। এবার হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ হুমায়ূনের হাত ধরে ক্যামেরার সমানে দাঁড়ালেন এই অভিনেতা।

ফারুক আহমেদ সমকালকে জানান, নাটক নয়, নুহাশের হাত ধরে বিজ্ঞাপনের শুটিং করছেন তিনি। আজ গাজীপুরের বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও রয়েছেন আরও দুই জনপ্রিয় অভিনেতা ডা.

এজাজ, স্বাধীন খসরু।

নুহাশ হুমায়ূনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের কারণেই আমার আজকের জনপ্রিয়তা। তাঁর সঙ্গে বহু নাটকে কাজ করেছি। এবার তাঁর ছেলের সঙ্গে কাজ ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। নুহাশের নির্মাণে হাত অসম্ভব সুন্দর। বাবার পর ছেলের সঙ্গে কাজ করছি। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।’


ফারুক আহমেদ, ডা. এজাজ ও স্বাধীন খসরু

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মূলত বিজ্ঞাপনের জন্য আমাদের এক করেছেন নুহাশ। একসঙ্গে পাঁচটি বিজ্ঞাপন হবে। এই কাজের জন্য স্বাধীন খসরু লন্ডন থেকে সম্প্রতি দেশে এসেছেন। আপাতত নাটক নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। দর্শক যদি যেভাবে চান তাহলে নাটকে কাজ হবে।’

হ‍ুমায়ূন আহমেদের ‘তারা তিনজন’, ‘তারা তিনজন টি-মাস্টার’, ‘তারা তিনজন ঝামেলায় আছে’, ‘তারা তিনজন হে পৃথিবী বিদায়’, ‘তারা তিনজন ফুচকা বিলাস’, ‘আবারো তিনজন’, ‘আমরা তিনজন’ নাটকে অভিনয় করেছেন ফারুক আহমেদসহ ডা. এজাজ ও স্বাধীন খসরু। যার সবগুলোই পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। ‘তারা তিনজন’ নাটকে ডা. এজাজ ও ফারুক আহমেদের ভাগনে চরিত্রে অভিনয় করেন স্বাধীন খসরু।

১১ বছর পর নুহাশ হ‍ুমায়ূনের ‘ওরা তিনজন’ বিজ্ঞাপনে তেমনই চরিত্রে থাকছেন তাঁরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ম য় ন আহম দ ফ র ক আহম দ হ ম য় ন আহম দ র স ব ধ ন খসর ফ র ক আহম দ ত নজন

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন, ঢাকার রাস্তায় আটকে গেলেন পার্থ বড়ুয়া

২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল সোলস ব্যান্ডের ৫০ বছর পূর্তির পথচলা। এরপর দেশে ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। ৫০ বছর পূর্তির এই আয়োজন এখনো চলছে। চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা ব্যান্ড সোলস এবার তাদের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান চট্টগ্রামেও করতে যাচ্ছে। আগামী ২ মে চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেলে গাইবে সোলস।

এ উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের একটি তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সোলসের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও শেষ মুহূর্তে থাকতে পারেননি পার্থ বড়ুয়া। ঢাকার রাস্তায় তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার পর বাসায় ফিরে যেতে হয় পার্থ বড়ুয়াকে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রথম ব্যাচের তিন শিক্ষার্থী সাজেদ, সুব্রত বড়ুয়া ও আহমেদ নেওয়াজ। এর বাইরে ছিলেন দুলু ও তপন চৌধুরী—এই পাঁচজন মিলে শুরুর দিকের ব্যান্ড সোলস। সেই সময়ের কথা মনে করে আহমেদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে জানান, শুরুতে সোলস ভেঙে যায়। এরপর তাঁরা আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের মতো। সোলসের কিছু ইনস্ট্রুমেন্ট নিজেরাই কিনে ফেলেন। তখন সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন। রনি, আহমেদ নেওয়াজ, সাজিদ। এরপর আবার শুরু করেন। এসব ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা।

এই বছরে ৩ আগস্ট চারুকলা অনুষদের যাত্রা শুরু। তপন, দুলু আর রনির বাসা ছিল একই জায়গায়। কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে, সোলস ব্যান্ড করার অনুপ্রেরণা হচ্ছে লাইটেনিংস। চট্টগ্রামের সংগীত ভবনের ওপরতলায় লাইটেনিংস নামে একটা দল ছিল, যারা বিটলসকে অনুসরণ করত। বিটলস যা যা ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করত, লাইটেনিংস সবই করত। সোলসের সবাই তখন অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকত, এত বিউটিফুল সাউন্ড কোথা থেকে আসছে। ওখান গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। এরপর আস্তে আস্তে নিজেরা সংগঠিত হতে থাকে। ছোট ছোট বিয়ের অনুষ্ঠান ও হোটেলের অনুষ্ঠানে গান গাইতে থাকে। এভাবেই শুরু সোলসের যাত্রা।

সংবাদ সম্মেলনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ