প্রায় ৯ মাস পর আবারো উত্তরের রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশের রাধিকাপুর বিরল স্থল সীমান্ত হয়ে দুই দেশের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন চলা শুরু হলো।

গত জুলাইয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বন্ধ হয় যাত্রীবাহী পরিবহন। তার আগে অবশ্য চাহিদা না থাকার কারণে মে মাসেই বন্ধ হয়ে যায় রাধিকাপুর বিরল সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশমুখী পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল।

আরো পড়ুন:

এর চেয়েও বাজে ব্যাটিংয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের যাত্রা

এদিন দীর্ঘ ৯ মাস পর পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের এই সীমান্তে বুধবার দুপুরে রাধিকাপুর স্টেশন এসে পৌঁছায় ভারতের পণ্যবাহী ট্রেন। কাস্টমসসহ সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনে ট্রেনের যাবতীয় নিরাপত্তা জনিত বিষয় খতিয়ে দেখে রেল ও বিএসএফের কর্মকর্তারা এরপরই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে পণ্যবাহী ট্রেনটি।

রাধিকাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার সংগীত দত্ত জানান, দীর্ঘদিন পর আজ থেকে চালু হলো এই ট্রেন।

তিনি বলেন, “৪৬টি বগি নিয়ে এই ট্রেন বাংলাদেশের বিরল এ পৌঁছাবে। চিনামাটির প্লেট তৈরির ডাস্ট পাউডার নিয়ে এই ট্রেন আজ রওনা দিয়েছে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে।”

গেদে-দর্শনা, পেট্রাপোল-বেনাপোল এবং রাধিকাপুর ও বিরল ভারত বাংলাদেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে মোট এই তিনটি রুট ব্যবহার করেই চলে রেলপথে পণ্য আপনাদের রপ্তানি। এর মধ্যে জুলাই আন্দোলনের পর নিরাপত্তার অজুহাতে বন্ধ হয়ে যায় রেলপথে আমদানি রপ্তানি। কিন্তু মাত্র তিন মাস পর সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পেট্রাপোল বেনাপোল বন্দর হয়ে শুরু হয় রেলপথে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম।

ভারতীয় রেলের তথ্য বলছে, রেলপথে পণ্য আদান-প্রদান পুনরায় শুরু হওয়ার পর ভারত থেকে অন্তত ৪০ হাজার টন পণ্য বাংলাদেশে গেছে।

কলকাতা/সুচরিতা/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম স পর র লপথ

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজের পরদিন শিশুর মুখ ঝলসানো লাশ উদ্ধার

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে নিখোঁজের এক দিন পর ৭ বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির মুখ ঝলসানো ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের এক ভুট্টাখেত থেকে পুলিশ বিবস্ত্র লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণ করে পরিচয় গোপন রাখার জন্য তার মুখাবয়ব অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। তার বাবা প্রবাসী।

বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। সারা রাত খোঁজার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে দিনমজুরেরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাড়ির থেকে ৩০০ গজ দূরের একটি ভুট্টাখেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেটা পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্যে। তাই আইন অনুসারে এ বিষয়ে মামলা চাটমোহর থানায় হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশ মাঠে নেমেছে। হত্যার কারণ বা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ