শান্তি আলোচনায় ‘কার্ড’ রাশিয়ার হাতে: বিবিসিকে ট্রাম্প
Published: 20th, February 2025 GMT
ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার জন্য কোনো শান্তি আলোচনার ক্ষেত্রে ‘কার্ড’ রাশিয়ার হাতে রয়েছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখানে কার্ড বলতে নিয়ন্ত্রণকে বুঝিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনের অনেক ভূখণ্ড নিজেদের দখলে নিয়েছে। তাই এমন ধারণা তাঁর।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গতকাল বুধবার ফ্লোরিডায় সৌদি আরব-সমর্থিত বিনিয়োগসংক্রান্ত একটি আলোচনা শেষে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে যাওয়ার পথে ওই সাক্ষাৎকার দেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, তাঁর বিশ্বাস মস্কো এই যুদ্ধের শেষ দেখতে চায়। তিন বছর আগে ইউক্রেনে পুরোদমে অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া।
আরও পড়ুনপুতিন ও ট্রাম্প সাত দিনে যেভাবে দুনিয়া কাঁপিয়ে দিলেন১৮ ঘণ্টা আগেফ্লোরিডার বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প। এ নিয়ে এক দিনে দুবার জেলেনস্কিকে স্বৈরশাসক বলেন তিনি। গতকাল সকালেই ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর জন্য দৃশ্যত জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলেন তিনি। তাঁর ওই প্রতিক্রিয়া ছিল আগের দিন জেলেনস্কির এক বক্তব্যের জেরে। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার বৈঠকে ইউক্রেনকে না নেওয়ায় অসন্তোষ জানিয়ে জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়া পরিচালিত ‘অপতথ্যের জগতে বাস করছেন’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্ক সিটির ট্রাম্প টাওয়ারে, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে ইরান
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইরানকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে তেহরান। ওমানের মাধ্যমে এই জবাব দেওয়া হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ট্রাম্পের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের জবাব ‘ওমানের মাধ্যমে যথাযথভাবে পাঠানো হয়েছে’।
আরাগচি বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় সরাসরি আলোচনায় যুক্ত না হওয়ার আমাদের নীতি এখনো বহাল আছে। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জবাবের মধ্যে একটি চিঠি রয়েছে, যেখানে বর্তমান পরিস্থিতি ও ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে আমাদের অভিমত বিস্তারিত তুলে ধরেছি।’
আরও পড়ুনইরানের নেতাকে ট্রাম্পের চিঠি০৭ মার্চ ২০২৫‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসেন এবং দেশটির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিল ইরান।
৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তেহরান আলোচনায় বসতে রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে আলোচনায় বসার জন্য ইরান দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।