মেট্রোরেল ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ চলবে, কর্মবিরতি ৩০ দিন স্থগিত
Published: 20th, February 2025 GMT
স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা চূড়ান্ত করতে ২১ ফেব্রুয়ারি মেট্রোরেল বন্ধের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, সেখান থেকে সরে এসেছে ডিএমটিসিএলের সরাসরি উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে শুক্রবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্বাভাবিকভাবেই মেট্রোরেল চলবে। এ ছাড়া, কর্মবিরতি ৩০ দিন স্থগিতের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চাকরি বিধিমালা চূড়ান্ত করা না হলে ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মেট্রোরেল সেবা বন্ধ থাকবে।
কর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার কয়েক দফায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে চাকরি বিধিমালা চূড়ান্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন। কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আপাতত কর্মবিরতি থেকে সরে এসেছেন তারা।
তারা জানান, রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ৩০ ক্যালেন্ডার দিন গণনা শুরু হবে। কর্তৃপক্ষ আগামী ২২ মার্চের মধ্যে আধুনিক ও বাস্তবসম্মত চাকরি বিধিমালা প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাকরি বিধিমালা চূড়ান্ত না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান ডিএমটিসিএলের সরাসরি উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলম দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এক হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান মামলা দুটি করেন। পরে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দুটি করা হয়েছে।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ২৪ আগস্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
মামলায় সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখল করে আসছেন তিনি। এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। আয়কর নথি অনুযায়ী করবর্ষ ২০১০-১২ এর রিটার্ন দাখিলের আগ পর্যন্ত তাঁর আগের সঞ্চয় ছিল ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭ টাকা।
২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত অতীত সঞ্চয়সহ সাইফুল ইসলামের গ্রহণযোগ্য আয় ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৫ টাকা। এ সময় তাঁর মোট ব্যয় ৯৭ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯৪০ টাকা।
অনুসন্ধানে দুদক দেখতে পেয়েছে, সাইফুল আলম ৯৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যয়সহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ৩৯৯ টাকা। গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিলে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।
অন্যদিকে, সাইফুল আলমের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ, তিনি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ফারজানার স্থাবর-অস্থাবর, ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৩ টাকা। তাঁর অতীত সঞ্চয়সহ গ্রহণযোগ্য আয় ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৫ টাকা। বাকি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার সম্পদের বৈধ কোনো উৎস নেই, যা তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্পদ রয়েছে। সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আয়কর নথিতে তা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এ সম্পদকে পাচার বলছে দুদক। বিদেশে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার ওপর নির্ভর করে মামলার তদন্তে তা যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।