তথ৵ ও যোগাযোগ প্রযুক্তি–অধ্যায় ৫: বহুনির্বাচনি প্রশ্ন।
Published: 20th, February 2025 GMT
১১০. মার্কি সিলেকশন টুলের সাহায্যে—
i. বৃত্তাকার সিলেকশন করা যায় ii. ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলা যায়
iii. অবজেক্ট তৈরি করা যায়
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১১১. ফটোশপে কয় ধরনের ল্যাসো টুল রয়েছে?
ক. ৩টি খ. ৪টি
গ. ৫টি ঘ. ৬টি
১১২. টুলবক্সের নিচের অংশে যে কালার আইকন রয়েছে তার নাম কী?
ক.
খ. কালার প্যাড
গ. Gradient আইকন ঘ. প্যালেট
১১৩. Feather-এর ঘরে সর্বোচ্চ কত পর্যন্ত পরিমাণ সূচকসংখ্যা লেখা যায়?
ক. ২৫০ খ. ৩৫০
গ. ৩৬০ ঘ. ৪৬০
১১৪. Feather ঘরে ১০ টাইপ করলে প্রান্তের নমনীয়তা কত হবে?
ক. ১০ খ. ২০
গ. ৩০ ঘ. ৪০
১১৫. মুক্ত সিলেকশন তৈরি করার জন্য কোন টুল ব্যবহার করা হয়?
ক. Lasso tool খ. Move tool
গ. Dodge tool ঘ. Fye Dropper tool
১১৬. কোনো অবজেক্টের রঙের গাঢ়ত্বের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য কী ব্যবহার করা হয়?
ক. গ্রেডিয়েন্ট খ. ফিল
গ. ওপাসিটি ঘ. সলিড কালার
১১৭. ওপাসিটি ঘরে রঙের পূর্ণ গাঢ়ত্ব কত?
ক. ১০০% খ. ২০০%
গ. ২৫০% ঘ. ৩৫০%
১১৮. ওপাসিটির রঙের গাঢ়ত্বের শতকরা হার যত কম হবে, রং ততই কী হবে?
ক. গাঢ় হবে খ. হালকা হবে
গ. ব্লেন্ড হবে ঘ. সাদা হবে
১১৯. Stroke কমান্ড কোন মেনুতে পাওয়া যায়?
ক. File খ. Edit
গ. Review ঘ. Color
১২০. কোন কমান্ড ব্যবহার করে ফটোশপে Save করতে হবে?
ক. Save খ. Ctrl + V
গ. Alt + S ঘ. Ctrl + C
১২১. ছবি সম্পাদনার পর্দা বা ক্যানভাসের একেকটি স্তরকে কী বলে?
ক. ওপাসিটি খ. লেয়ার
গ. পাথ ঘ. Swatches
১২২. লেয়ার প্যালেটে কয়টি লেয়ার থাকতে পারে?
ক. ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. অসংখ্য
১২৩. ছবির কোনো অংশ মুছতে ফটোশপে কোন টুলটি ব্যবহার করা হয়?
ক. Purge tool খ. Lasso tool
গ. Background Eraser tool ঘ. Burnt
১২৪. লেয়ার প্যালেটে লেয়ারগুলো কীভাবে বিন্যস্ত হবে?
ক. পর্যায়ক্রমে খ. ছোট থেকে বড়
গ. বড় থেকে ছোট ঘ. এলোমেলোভাবে
১২৫. চোখের আইকনটি লেয়ারের কোন দিকে থাকে?
ক. New layer আইকনের পাশে খ. ডান দিকে
গ. বাঁ দিকে ঘ. নিচের দিকে
১২৬. লেয়ারে কোন ছবি দৃশ্যমানকে অদৃশ্য করতে কোন আইকনটি ব্যবহার করা হয়?
ক. থাম্বনেইল আইকন খ. লক আইকন
গ. ওপাসিটি ঘ. Layer visibility icon
সঠিক উত্তর
অধ্যায় ৫: ১১০. খ ১১১. ক ১১২. ক ১১৩. ক ১১৪. খ ১১৫. ক ১১৬. গ ১১৭. ক ১১৮. খ
১১৯. খ ১২০. ক ১২১. খ ১২২. ঘ ১২৩. গ ১২৪. ক ১২৫. গ ১২৬. ঘ
প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
আরও পড়ুনমাধ্যমিকের সংশোধিত ছুটির তালিকা, এসএসসির প্রাক-নির্বাচনি ও নির্বাচনি পরীক্ষার নতুন তারিখ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর কোন পরীক্ষা কবে১১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ২৬ জুন১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সাইকেলে হিমালয়ের অন্নপূর্ণা জয় করেছেন জাবি শিক্ষার্থী
প্রথম বাংলাদেশি এবং বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম আইকনিক বেসক্যাম্প অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্প-এ সাইকেল নিয়ে সামিট করেছেন তোজাম্মেল হোসাইন মিলন। এছাড়া, একই অভিযানে একক ব্যক্তি হিসেবে তিনি তিলিচো হ্রদ, থরং লা পাস, অন্নপূর্ণা সার্কিট এবং অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্প এ চারটি চূড়ান্ত গন্তব্য সাইকেলে সম্পন্ন করেছেন, যা বাংলাদেশসহ বিশ্বে প্রথম।
গত ১৭ মার্চ যাত্রা শুরু করে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে গত ২ এপ্রিল অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্পে পৌঁছিয়ে তিনি এ বিরল রেকর্ড গড়েন। গত ৭ এপ্রিল নেপালে কাঠমন্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে তার এ অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ সনদ প্রদান করা হয়।
আরো পড়ুন:
‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিতে জাবির শিক্ষার্থীদের সংহতি
জাবিতে মেট্রোরেলের স্টেশন দাবি শিবিরের
মিলনের জন্ম পাবনা জেলায়। তবে বাবার চাকরিসূত্রে তার শৈশব, কৈশোর ও পড়াশোনা সবই গাজীপুরের জয়দেবপুরে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে (৪২ ব্যাচ) স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বর্তমানে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে গণিতের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
তার চারটি গন্তব্যের মধ্যে অন্নপূর্ণা সার্কিট নেপালের হিমালয় অঞ্চলের একটি বিশ্ববিখ্যাত ট্রেকিং রুট, যা অন্নপূর্ণা পর্বত শ্রেণিকে ঘিরে প্রায় ১৩০ থেকে ২৩০ কিলোমিটার বিসতৃত। মহাভারতের ‘বরুণ হ্রদ’ খ্যাত ‘তিলিচো হ্রদ’ হলো পৃথিবীর অন্যতম উচ্চতম হ্রদ, যার উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৯১৯ মিটার। এটি অন্নপূর্ণা সার্কিটের মধ্যেই অবস্থিত। তবে মূল ট্রেকিং রুট থেকে একটু ডাইভার্সন নিতে হয় এখানে পৌঁছাতে। এ হ্রদে পৌঁছানোর পথ কঠিন, পাথুরে এবং বরফে ঢাকা। এজন্য ট্রেকারদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জও বটে।
‘থরং লা পাস’ হলো অন্নপূর্ণা সার্কিটের সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে কঠিন অংশ, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ৪১৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের অন্যতম উচ্চ ট্রেকিং পাস হিসেবে পরিচিত। এখানে পৌঁছাতে গেলে প্রচণ্ড ঠান্ডা, পাতলা অক্সিজেন এবং দীর্ঘ চড়াই পথ পার করতে হয়। ‘অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প’ হলো ৪ হাজার ১৩০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত একটি আইকনিক বেস ক্যাম্প, যেখান থেকে পর্বতারোহীরা অন্নপূর্ণা-১ সামিট অভিযানে যাত্রা শুরু করেন।
যাত্রার শুরু কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই ছিলাম একটু দুষ্টু ও ডানপিটে। আর অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি ঝোঁক ছিল সবসময়। সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগতো। তবে অ্যাডভেঞ্চার সাইক্লিংয়ে আসার গল্পটা একটু অন্যরকম। ২০১৬ সালের শুরু দিকে আমার শরীরে লিম্ফোমা টিউমার ধরা পড়ে। বায়োপসি করার পর জানা যায়, এটি ক্যান্সার। যদিও ভাগ্যক্রমে একেবারেই প্রথম স্টেজে ছিল। নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে আমি সুস্থ হয়ে উঠি। কিন্তু ডাক্তাররা পরামর্শ দেন নিয়মিত ঘাম ঝরাতে হবে। তখন থেকেই নিয়মিত সাইক্লিং শুরু করি।”
তিনি বলেন, “এরপর পরিচয় হয় গাজীপুর সাইকেল রাইডার্স এর সঙ্গে। ওই সময় থেকেই আমার সাইক্লিংয়ের আসল যাত্রা শুরু হয়। ২০১৮ সালে জীবনের সবচেয়ে সাহসী এক্সপেডিশন করি। বাংলাদেশের টেকনাফে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাইকেল চালিয়ে পৌঁছে যাই তৎকালীন বিশ্বের সর্বোচ্চ মোটরযোগ্য রাস্তা খারদুংলা পাস পর্যন্ত। ৭০ দিনের সেই অভিযানই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় আমার আসল অ্যাডভেঞ্চার সাইক্লিং লাইফ।”
মিলন গত ১৫ মার্চ বিমানযোগে নেপালের কাঠমন্ডু যান এবং ১৭ মার্চ তার ১৫ দিনের এই সাইকেল যাত্রা শুরু হয়। সবাই আরো উপর থেকে যাত্রা শুরু করলেও ধীরে ধীরে উচ্চতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একটু নিচে থেকেই তিনি যাত্রা শুরু করেন। ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে কিছুটা বেশি সময় লাগে তার।
অভিযানে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “সবচেয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ছিল থরং ফেদিতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি। সেদিন ফ্রিজিং টেম্পারেচার আর লো এয়ার প্রেসারের কারণে আমার সাইকেলের দুইটি ব্রেকই একসঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। আমি তখন থরং ফেদির ৩৫০ মিটার লম্বা ঝুলন্ত ব্রিজের ওপর দিয়ে যাচ্ছিলাম। ব্রেক কাজ না করায় সাইকেলের গতি হঠাৎ বেড়ে যায়। মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। আল্লাহর অশেষ রহমতে, সেদিন ব্রিজ থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যাইনি। পড়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত ছিল।”
তিনি বলেন, “খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্রিজ পার হতেই আবার পড়ে যাই। তখন নেদারল্যান্ডের দুজন ট্রেকার আমাকে উদ্ধার করেন। পা, থুতনি আর শরীরের বিভিন্ন অংশে চোট পাই। তখন থরং ফেদির একটি লজে দুজন ইতালিয়ান নারী চিকিৎসক আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ বিপদের সময় ওই বিদেশি পর্যটক, চিকিৎসক, আর ডাচ ভদ্রলোকের সহানুভূতি ও সহায়তা আমাকে আবার পথ চলার সাহস দিয়েছে। এ অভিযানে তাদের অবদান আমি কখনো ভুলব না।”
এ অভিযান ও অর্জন তার কন্যা সন্তান মানহাকে উৎসর্গ করেছেন মিলন। তিনি বলেন, “এটি শুধু আমার স্বপ্ন নয়, এটি সেই স্বপ্ন যা আমি চাই আমার মেয়ে অনুভব করুক। আমি চাই সে জানুক, তার বাবা কখনো হার মানেনি। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে, সীমিত সামর্থ্য নিয়ে, একা একা হেঁটে কিংবা প্যাডেল ঘুরিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে গেছে। আর সে যেন জানে, বাবা যেভাবে কঠিন সময়ের মধ্যেও হাল ছাড়েনি, সেও যেন জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহস না হারায়।”
ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি স্বপ্ন দেখি একদিন, পৃথিবীর সাতটি কঠিনতম সাইক্লিং ট্রেইল ও পাস পাড়ি দেব। পামির হাইওয়ে (মালভূমি হাইওয়ে), যা আমি সাইকেল চালিয়ে অতিক্রম করবো। পাকিস্তানের কারাকোরাম হাইওয়ে-সেখানে সাইকেল চালানোর স্বপ্নও আমার। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডের সীমান্ত পেরিয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে সাইক্লিং, যেখানে সংস্কৃতি, প্রকৃতি আর মানুষ একাকার হয়ে যায়।”
“নিজের অভিজ্ঞতা, পথের গল্প, মানুষের হাসি-কান্না আর নিজের ভেতরের আলো খোঁজার লড়াই দিয়ে একটি বই লেখা। যে বইটি শুধু রাস্তাঘাট, ট্রেইল আর পাহাড়ের গল্প নয়, বরং আত্মা, সাহস আর বেঁচে থাকার গল্প হয়ে উঠবে,”-যুক্ত করেন মিলন।
ঢাকা/মেহেদী