ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি ছুরি, দুটি চাপাতি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পল্লবীর বালুরঘাট এলাকার একটি দোকানে কয়েকজন ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে এমন খবর আসে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় পাঁচজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাঁরা হলেন সাকিব (১৮), মো.

ইয়াছিন (১৯), মো. শিমুল (২০), মো. সুজন (১৯) ও রাব্বী হাসান ওরফে জয় (২০)।

পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাঁদের ৭-৮ সঙ্গী দৌড়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ একত্র হয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

তারেক রহমান সেই ধরনের রাজনীতি আর করতে দিবে না : রাজিব

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি বাক্য উপস্থাপন করেছেন যে সবার আগে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের এমনই হওয়া উচিত যে নিজের না খেয়ে অন্যের জন্য বিলিয়ে দেওয়া। একটি মানুষ কষ্টে থাকবে আর নিজে আনন্দ করবো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির কর্মীরা এটা করবে না এটা নিশ্চিত। 

আমরা আমাদের যারা প্রতিবেশী রয়েছে তাদের খেয়াল রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।  একটা সময় ছিল আমরা যা খুশি তাই করেছি কিন্তু এখন আর তা করার সময় নেই। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে থেকে ফতুল্লা থানা বিএনপির উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হাজীগঞ্জ এলাকায় অসহায় ও দুস্থদের মাঝে এই ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। 

তিনি বলেন, আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে হবে। সেটা জোর করে নয় ভালোবাসা দিয়ে। আপনি জোর করে মানুষের কাছ থেকে সালাম ও সম্মান নিবেন, ভালোবাসা নিবেন সেই দিন শেষ ।

এই রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে উঠে গেছে সামনে আর এই রাজনীতি বাংলাদেশ হবে না।  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীরা এই ধরনের রাজনীতি আর করতে পারবেন এটা নিশ্চিত করে রাখেন। আগামী দিনে যারাই নেতৃত্ব দিবেন জনগণের সেবক হতে হবে, জনগণের কাছে যেতে হবে জনগণের কথা শুনতে হবে।

 এ ধরনের মন-মানসিকতা যদি আপনি তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি নেতৃত্ব দিতে পারবেন। আপনি নেতা আপনার কথাই সবাই শুনতে হবে এ রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে উঠে যাবে। অন্তত তারেক রহমান সেই ধরনের রাজনীতি আর করতে দিবে না। জাতীয়তাবাদী দলের যারা রাজনীতি করেন তারা এটা করতে পারবেন এটাও নিশ্চিত জেনে রাখেন। 

তিনি বলেন, এদেশের মানুষ তার নাগরিক অধিকারটা চায়। মানুষের কিন্তু বেশি চাওয়া পাওয়া নেই। সে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। কোন দল ক্ষমতায় আসবে কি করবে এটা কিন্তু তারা চায় না। বিপদগ্রস্ত হলে রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়াবে এটি তাদের প্রত্যাশা।

আমরা যারা বিএনপির রাজনীতি করি আগামী দ্বারা দিনের যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে সত্যিকারের  শাসন যেটা জনগণের অধিকার সেটাই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে। লুণ্ঠন ও অত্যাচারের রাজনীতি এটা যেমন এদেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। আমরা যারা জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা আমরাও আর এটা দেখতে চাই না। আগামী দিনে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই। 

তিনি আরও বলেন, ব্যক্তির স্বার্থ অপেক্ষা করে অন্যের সাথে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার নামই রাজনীতি। যদি আপনি নিজেকে অন্যের মাঝে বিলিয়ে না দিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি রাজনৈতিক করতে পারেন না।

দল থেকে স্পষ্ট বার্তা দলের সুনাম ক্ষুন্ন হয় এ ধরনের কোন কর্মকান্ডে আপনারা নিজেদেরকে জড়িত করতে পারবেন না। যে যত বড় নেতা হোক না কোন অপকর্ম সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাকে আর বিএনপির রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না এটা নিশ্চিত কারণ তারেক রহমানের নির্দেশ।

যদি কেউ মনে করেন সে প্রভাবশালী তার ভয়ে আপনারা কেউ কিছু বলতে পারবেন না আপনারা দয়া করে আমাদেরকে জানাবেন আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা যে বাহিনী তারা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আইনের শাসন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে। অসাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যে আইন একজন বড় নেতা হোক তার জন্য একই আইন। সুতরাং কেউ পার পাওয়ার কোন সুযোগ নাই। বিগত ১৭ বছরে কিন্তু দেশে কোন আইন বলতে কিছুই ছিল না। মানুষ তার সঠিক বিচার পাইনি। ইনশাল্লাহ যদি আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করা হবে। 

ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. হানিফ শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে এলাহী সোহাগ, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান অনি, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুর রহমান আরিফ, ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পারভেজ মিয়া, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোসন আলী, যুগ্ম সম্পাদক মো. মাহিন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসান উল্লাহ খোকন, এসিআই সিবিএ'র সিনিয়র সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান জুয়েল, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক রায়হাদ হোসেন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা বাবু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ