খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খান এক বিবৃতিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে উপাচার্য জানিয়েছেন, সহিংসতা কখনো প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। শিক্ষকদের উপর হামলা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আলোচনার মাধ্যমে বিবাদমান বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সকল পক্ষেরই আন্তরিকভাবে কাজ করা উচিত।

তিনি উপাচার্যের উপর হামলাসহ কুয়েটের সাম্প্রতিক সকল ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডার ৪৫তম ফেডারেল নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

আগামী ২৮ এপ্রিল কানাডার ৪৫তম ফেডারেল নির্বাচন। স্থানীয় সময় আজ রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ‘হাউজ অব কমন্স’ সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন ঘোষণার জন্য গভর্নর জেনারেলকে অনুরোধ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।

বিধি অনুসারে, নির্বাচনের আগে প্রচারণার জন্য কমপক্ষে ৩৬ দিন সময় দেওয়ার বিধান রয়েছে।

কানাডার পার্লামেন্ট ‘হাউজ অফ কমেন্সের মোট আসন সংখ্যা ৩৪৩টি। যে কোনো দলের এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭২টি আসন। কানাডার রাজনীতিতে বা সরকার ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন এই মুহূর্তে কানাডার প্রয়োজন শক্তিশালী অর্থনীতি।

কানাডার ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাত্র ৯ দিনের জন্য মার্ক কার্নি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ১৮৯৬ সালে চার্লেস টাপার ছিলেন মাত্র ৬৯ দিনের জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী।

আসন্ন ফেডারেল নির্বাচনে এখন পর্যন্ত চারটি দল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি, পিয়েরে পয়লিয়েভ কনজারভেটিভ পার্টি, জাগমিত সিং এনডিপি পার্টি, ইভস ফ্রান্সসয়েন্স ব্লানচেট, ব্লক কুইবেক পার্টি এবং এলিজাবেথ মে অ্যান্ড জোনাথান পেডনলট যৌথভাবে গ্রিন পার্টি অফ কানাডা।

প্রথম দিনের নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ ও সংযুক্তির হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও শক্তিশালী ম্যান্ডেটের অঙ্গীকার করেছেন প্রত্যেক দলের নেতৃবৃন্দ। 

কানাডার সর্বশেষ আসনভিত্তিক জরিপে জানা গেছে, মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি এগিয়ে রয়েছে। যেখানে গতমাসেও কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে ছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কানাডার বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীল রাখা এবং ট্রাম্পের সঙ্গে ট্যারিফ আরোপের কানাডা ও আমেরিকার যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে; তা সমাধানে এই মুহূর্তে অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নিই কানাডিয়ানদের কাছে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। আর এই কারণেই দেশটির নাগরিকদের কাছে দিন দিন মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টি জয়ের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ