সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রোজায় বাজার মনিটরিং করা হবে। ভোগ্যপণ্যের অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমানে খাদ্য পরিস্থিতি কেমন আছে, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখনতো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। একটা মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে। সেখানে একটার দাম কমবে আরেকটার বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটাদাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয়। আমাদের পরিসংখ্যান আছে কমেছে।

তিনি বলেন, রোজার সময় যেভাবে পারি বাজার মনিটরিং করব। সেটা ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন। আমিও তাদের (ডিসি) বলেছি স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করতে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যাতে কোনো রকমের কারসাজি না হয়। দেখা যায় যে, খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে যায় না। গুদামে পড়ে থাকে লুকিয়ে রাখা হয়। এগুলো যেন কোনো ক্রমেই না হয়। রোজার সময় আমরা আরও বেশি যাতে সরবরাহ হয় সেটা নিশ্চিত করব।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। সুতরাং সাধারণ মানুষের যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করব।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকে দীর্ঘ মিটিং হয়েছে। অনেকগুলো অ্যাজেন্ডা ছিল। তার মধ্যে চাল, সার আমদানি, সজোরে গুদাম তৈরি করা, কিছু রাস্তা, ব্রিজ ও বন্দরের রাস্তা রয়েছে। আজকে যেটা করা হয়েছে সেটা হলো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য, আর কতোগুলো আছে ভৌত অবকাঠামো সেগুলো আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রিজ, রাস্তা রয়েছে কতগুলো। এই হলো আমাদের ক্রয় কমিটিতে।

মাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, হ্যাঁ মাতারবাড়ি একটা বড় প্রকল্প। এর বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে। মাতারবাড়িতে পাওয়ার সাপ্লাই আছে। জাপানিজ কোম্পানি জাপানিজ গ্রান্ড এটা করেছে। তাদের শর্তগুলো খুবই সহনীয়। আরেকটা সুবিধা হলো এ পর্যন্ত তারা যে ঋণ দিয়েছে সেটা কয়েক বছর পর সেটা অনুদান করে দেয়। এটা খুব ভালো একটা প্রকল্প।

তিনি বলেন, সবচেয় বড় কথা হচ্ছে মাতারবাড়িতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সেখানে একটা জেটি করবে, তবে সেখানে একটা বেসরকারি জেটি আছে। এই প্রকল্পের সুবিধা হলো সেখানে পোর্টের কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়বে এবং পাওয়ার জেনারেট হবে। বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে, এখন শুধু বাকিটা করা হবে।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: প রকল প উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর আনসার

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। পার্বত্য অঞ্চলে ১৬টি আনসার ব্যাটালিয়নসহ সারাদেশে ৪২টি ব্যাটালিয়নের প্রতিটিতে ১ প্লাটুন করে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

মঙ্গলবার আনসার বাহিনীর উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করতে বাহিনীর পক্ষ থেকে কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশের প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্তত্য ৫৫ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্যকে অধিকতর সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নদীপথে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৬ মার্চ থেকে ঈদ পরবর্তী সময়ে দুই দিন পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চে চারজন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৫ মার্চ থেকে ৮এপ্রিল পর্যন্ত রেলপথে যাত্রীদের নিরাপত্তায় ৬৫০জন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভিডিপি সদস্যদের সক্রিয় রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ড সংঘটিত হলে তারা দ্রুততম সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ