বরিশালের চরমোনাই দরবারের মাহফিল প্রাঙ্গণে ওলামা-মাশায়েখ মহাসমাবেশে বক্তারা বলেছেন, ‘আগে সংস্কার পরে নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। যারা দ্রুত নির্বাচন চায়, তাদের সঙ্গে ভারতের সেনাবাহিনীর যোগসাজশ রয়েছে।’

মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হকসহ আরও কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের নেতা ও শীর্ষ আলেমরা বক্তৃতা করেন।

চরমোনাই পীর বলেন, আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনে দেশ গড়ার কাজ করতে চাই। ইসলামের পক্ষে বৃহত্তর ঐক্যের জন্য আমাদের প্রয়াস সফল হবে ইনশাআল্লাহ।

ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, আমাদের অন্তরের ঐক্য হলে বৃহত্তর ঐক্য সম্ভব। ইসলামপন্থীদের টেকসই ঐক্যে গড়তে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত। মঞ্চে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে বলেন, যাই হোক না কেন আমরা কেউ আলাদা হবো না। তাহলেই ইসলামকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনা সম্ভব।

খেলাফত মজলিসের মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্যে বলেন, ওলামায়ে কেরামের হাতে অনেক বড় সুযোগ এসেছে। এ সুযোগে যদি ইসলামকে বিজয়ী করতে না পারি, তবে আগামী দিনে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। দেওবন্দের ধারায় প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দল হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দেওবন্দি ধারার বাইরে জামায়াতে ইসলামী, সুন্নি এবং আহলে হাদিস আন্দোলনকে নিয়ে আগামী দিনের ভোটে ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স হতে হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজি বলেন ওলামায়ে কেরামের ঐক্যের প্রয়োজনে আমি আমাদের পরিচয় বিলীন করে দিয়ে ঐক্যের সঙ্গে  থাকতে চাই।

মহাসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ও অধ্যাপক আশারাফ আলী আকন, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন বাংলাদেশের সভাপতি দয়াল কুমার বড়ুয়া, শায়খ জাকারিয়া, ইসলামী রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.

আহমাদ সিদকী প্রমুখ।

আজ তৃতীয় দিন দুপুরে মাহফিল প্রাঙ্গণে ছাত্র মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ মহাসমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণ করবেন বলে মাহফিল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চরম ন ই প র আম দ র আম র ম ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর আনসার

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। পার্বত্য অঞ্চলে ১৬টি আনসার ব্যাটালিয়নসহ সারাদেশে ৪২টি ব্যাটালিয়নের প্রতিটিতে ১ প্লাটুন করে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

মঙ্গলবার আনসার বাহিনীর উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করতে বাহিনীর পক্ষ থেকে কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশের প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্তত্য ৫৫ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্যকে অধিকতর সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নদীপথে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৬ মার্চ থেকে ঈদ পরবর্তী সময়ে দুই দিন পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চে চারজন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৫ মার্চ থেকে ৮এপ্রিল পর্যন্ত রেলপথে যাত্রীদের নিরাপত্তায় ৬৫০জন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভিডিপি সদস্যদের সক্রিয় রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ড সংঘটিত হলে তারা দ্রুততম সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ