যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্পর্ক কখনোই মসৃণ ছিল না। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালের ২৫ জুলাই জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনকলে কথা বলেছিলেন তিনি। ওই ফোনকলের জেরে শেষ পর্যন্ত প্রথম অভিশংসনের মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অভিযোগ করা হয়েছিল, ২৫ জুলাইয়ের ফোনকলে বাইডেনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক তথ্য প্রকাশ্যে আনতে জেলেনস্কির ওপর চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আইন ভঙ্গ করেছিলেন তিনি।

বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাষ্য ছিল, নির্বাচনে জয়লাভের জন্য বিদেশি কারও কাছে সাহায্য চাওয়াটা অবৈধ। তবে ট্রাম্প তখন দাবি করেছিলেন—তিনি কোনো ভুল কাজ করেননি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন তিনি। তবে সিনেটের ভোটাভুটিতে শেষ পর্যন্ত রক্ষা পান।

ট্রাম্পের ওই ফোনকলের বিষয়টি ২০১৯ সালের আগস্টে প্রথম সামনে আনেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় সামনে আনেননি তিনি। পরে বিতর্কের মুখে ওই ফোনকলের কিছু অংশ প্রকাশ করে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন। তাতে দেখা যায়, বাইডেন ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে জেলেনস্কিকে বলেছিলেন ট্রাম্প।

জেলেনস্কিকে ওই ফোনকলের আগে ইউক্রেনকে দিতে যাওয়া সামরিক সহায়তা বাতিল করেছিলেন ট্রাম্প। পরে সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিনিময়ে ওই সহায়তা আবার দেওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউস এমন তথ্য নাকচ করে দিয়েছিল।

ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকেরা অভিযোগ তুলেছিলেন, বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনকে নিয়োগ দিয়েছিল ইউক্রেনের একটি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছিলেন দেশটির একজন শীর্ষ কৌঁসুলি। ২০১৫ সালে তাঁকে চাকরি থেকে সরাতে ইউক্রেন সরকারের ওপর চাপ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ সে সময় অস্বীকার করেছিলেন বাইডেন। নিজের ছেলেকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বাইডেন কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির কোনো প্রমাণ মেলেনি। আর নিজের অভিশংসন নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার তিনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০১৯ স ল কর ছ ল ন ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বস হিসেবে আদর্শ কেন

সেটিই করুন, যা করতে ভালোবাসেন

সুন্দর পিচাইয়ের মতে, যে কাজে আপনার সবচেয়ে বেশি আনন্দ হয়, সেটিই বেছে নেওয়া উচিত পেশা হিসেবে। সেই কাজটা খুঁজে বের করতে একটু সময় লেগে গেলেও ক্ষতি নেই। বাস্তবতা হলো পরিবার বা সমাজের চাপে নিজের পছন্দের কাজ করতে পারেন না অনেকেই; কিন্তু যে কাজ আপনার পছন্দ নয়, সেই কাজের সামাজিক কিংবা আর্থিক মর্যাদা যত বেশিই হোক না কেন, তাতে সত্যিকার অর্থে সাফল্য পাওয়া নিঃসন্দেহে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে; বরং নিজের ভালো লাগার কাজকে পেশা হিসেবে নিতে পারলে সফল হওয়া তুলনামূলক সহজ। কর্মজীবনের আনন্দও খুঁজে পাবেন এতে। কাজকে বোঝা মনে হবে না।

আরও পড়ুনঅফিসে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, বুঝুন ১০ লক্ষণ দেখে০২ ডিসেম্বর ২০২৪নতুনকে গ্রহণ করুন সহজে

ভিন্নধারার কিছু শুরু করতে সাহস করে উঠতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু সুন্দর পিচাই বিশ্বাস করেন, নতুন যেকোনো ভাবনাকেই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা উচিত। অপ্রচলিত বিষয় বলে কোনো কিছুকে শুরুতেই নাকচ করে দেওয়া ঠিক নয়।

শিখতে থাকুন, বাড়তে থাকুন

ক্যারিয়ারের প্রতিটি পর্যায়েই শেখার চর্চা ধরে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন গুগলের সিইও। ক্যারিয়ারের কোনো পর্যায়েই একজন ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে ওঠার পালা কিন্তু শেষ হয়ে যায় না। মানুষ হিসেবে নিজের সেরা ভার্সন হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা আপনার ক্যারিয়ারের জন্যও ইতিবাচক।

আরও পড়ুনআদর্শ বস কর্মীদের যে ৫টি কথা প্রতিদিন বলেন২৫ মার্চ ২০২৪চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন

জীবনে বড় কিছু করতে হলে চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে আপনাকে। ঝড়ঝাপটা সামলে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। নিজের কমফোর্ট জোন বা স্বস্তির জায়গায় পড়ে থাকলে কিন্তু উন্নতি করা কঠিন। সুন্দর পিচাইয়ের ক্যারিয়ার থেকে আপনি তা অনায়াসেই অনুধাবন করবেন। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং নতুন কিছু উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্ব দেন সুন্দর পিচাই।

নেতৃত্ব দিন সমমর্মী হয়ে

নেতৃত্ব মানে কেবল কর্তৃত্বই নয়; বরং অধীনদের মতামত গ্রহণ করার মানসিকতা এবং তাঁদের ভাবনাগুলোকে তাঁদের জায়গা থেকে বিবেচনার চেষ্টা করাই একজন ভালো দলনেতার বৈশিষ্ট্য। সুন্দর পিচাই তাঁর নম্র কিন্তু কার্যকর নেতৃত্বের জন্য জনপ্রিয়।

সূত্র: এমএসএন

আরও পড়ুনবিখ্যাত মনোবিজ্ঞানীর মতে, অফিসের যে ৪টি নিয়ম বাতিল করার এখনই সময় ০৬ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সন্‌জীদা খাতুন—শ্রদ্ধা ও সমীহের সঙ্গে উচ্চারিত একটি নাম
  • কাজ শেষ করতে পারেনি স্বাস্থ্যের সংস্কার কমিশন
  • অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি নির্মাতার ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা-গ্রেপ্তার
  • ছাত্রদল সভাপতি হওয়ার পর ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তোলা ছবি
  • রাতে শুনি ‘গেম ওভার’, সকালে শুনি কী
  • নওগাঁয় পিকআপ-ট্রাক্টর সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের
  • গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস নেতা ও তার স্ত্রী নিহত
  • গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই বস হিসেবে আদর্শ কেন
  • ভারত–ম্যাচে নায়ক, এরপর খলনায়ক: আবার ভারতকে পেয়ে নায়ক হতে চান সাদ
  • জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় ২৭ মার্চ