“অতীত নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে আনন্দ লাগে। কিছু স্মৃতি আবার কষ্টেরও। এবার যা ভালো লেগেছে, তা হলো প্রথমবারের মতো পডকাস্টে নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারের কথা বললাম।”— এভাবেই কথাগুলো বলেন চিত্রনায়ক সোহেল রানা।

১৯৪৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন সোহেল রানা। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ৭৮ পূর্ণ করে ৭৯ বছরে পা দেবেন দেশীয় চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি ‘ড্যাশিং হিরো’খ্যাত এই অভিনেতা। বিশেষ দিনে প্রকাশিত হবে পডকাস্টের টিজার।

আগামীকাল রাত ৮টায় আইস অন পেজ ও আইস অন ইউটিউব চ্যানেলে ‘আমি সোহেল রানা’ শিরোনামে পডকাস্টটির টিজার উন্মুক্ত করা হবে। খুব দ্রুতই প্রচার শুরু হবে পডকাস্টটির।

আরো পড়ুন:

‘সম্পর্কটা বিয়ের দিকে যাবে না কি ব্রেক-আপ হবে বলা মুশকিল’

বেনারসিতে নজরকাড়া জয়া

গত বছর পরিচালক-অভিনেতা সোহেল রানার ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেন। তার অভিনীত ও নির্মিত ‘মাসুদ রানা’ চলচ্চিত্রটি ১৯৭৪ সালের ২৪ মে মুক্তি পায়। তবে ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমা দিয়ে ১৯৭২ সালে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র পডক স ট

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি শিক্ষার্থীদের

মৌলভীবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগমের অপসারণ দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। এ লক্ষ্যে গত বুধবার বিদ্যালয়ে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৫ সালে হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন রাশেদা বেগম। যোগদানের পর তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতার প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। রাশেদার বিরুদ্ধে  বিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানতের তহবিলের টাকা তছরুপ, ব্যক্তিগত পছন্দে অযোগ্য লোকদের বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকা অনলাইনে গ্রহণ না করে নিজ হাতে নেওয়া, রসিদ না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। 
এদিকে গত ৭ এপ্রিল ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একটি অংশ রাশেদার দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক মিফতাউজ্জমান সাজু, শ্যামলী চন্দ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি করেন, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহনাজ ফেরদৌস গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের আলামত পান। ফলে তিনি হিসাবের কাগজপত্র ঠিক করার জন্য প্রধান শিক্ষককে এক মাস সময় দেন। এর পর তিনি জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে প্রধান করে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অডিটের তারিখ দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম ওই দিন অডিট টিমকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেননি। এ ঘটনায় ওই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করেন। এ ঘটনায় রাশেদা বেগম আদালতে মামলা দায়ের করেন। নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু কথা থাকলেও এখনও পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটছে। 
হাফিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা বেগম বলেন, গত বুধবার গুটিকয়েক শিক্ষার্থী তাঁর অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে। পরদিন বিদ্যালয়ের শতশত সাধারণ শিক্ষার্থী বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করে তাঁকে স্বপদে বহাল রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি আইনগতভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীদের দেওয়া স্মারকলিপিটি ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ