বন্দরে চোরাইকৃত বৈদ্যুতিক ফ্যানসহ জুয়েল (২৮) নামে এক চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয় জনতা। গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) রাতে বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ি ও কবিলেরমোড় এলাকা থেকে চোরাইকৃত বৈদ্যুতিক ফ্যানসহ ওই চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।

আটককৃত চোর জুয়েল নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে। পরে পুলিশ  আটককৃত চোর জুয়েলের তথ্যমতে রাতে  থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে  চোরাইকৃত ২৬টি বৈদ্যুতিক ফ্যান উদ্ধারসহ চোরাই মালামাল রাখার অপরাধে  আরো ৮ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।

আটককৃতরা নবীগঞ্জ কবিলের মোড় এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মাসুদ (৩৪) একই এলাকার আব্দুল মোতালেব মিয়ার ছেলে আল আমিন (২৬) আলী আহম্মেদ মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২৫) একই এলাকার ছাদিমুল মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (২৭) একই এলাকার মৃত আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে দেলোয়ার (৫৫) নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার কালু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (৩২) নূরবাগ এলাকার কাশেম প্রধানের ছেলে আলমগীর (৫৫) ও নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে আক্তার মিয়া (৪০)।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চুরি ঘটনায় উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকালে  অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যারা মামলা নং ১৭(২)২৫। পুলিশ আটককৃতদের উল্লেখিত চুরি মামলায় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে।

এর আগে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে যে কোন সময়ে বন্দর থানার নবীগঞ্জস্থ হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ চুরি ঘটনাটি ঘটে।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) আনুমানিক বিকেল ৪টায় অত্র বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারি আমির হোসেন কালুন মিয়া বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলায় পরিস্কার করতে গেলে তখন ৩য় ও ৪র্থ তলায় মোট ৬টি কক্ষের ৩২টি বৈদ্যুতিক পাখা, ওয়ারিং এর তার ও দুইটি সিসি ক্যামেরা ও সিসি টিভি ক্যাবল দেখতে না পেয়ে বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে প্রধান শিক্ষককে অবগত করে। পরে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকমন্ডলীদের নিয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থল  পরিপরিদর্শন করে এ ব্যাপারে বন্দর থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি চুরি মামলা দায়ের করেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আটকক ত এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে আ.লীগের পক্ষে মিছিল, আটক ৩

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে একদল লোক আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করেছেন। এসময় উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দেয় এবং কয়েক জনকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। 

বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ফিরে যাওয়ার সময় মিছিল করেন তারা। 

হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, আনুমানিক সকাল ১১টার সময় ৫/৬ জন জাতীয় স্মৃতি সৌধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন। এমন অভিযোগে তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশ আটক করে। 

আরো পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান: বজলুর রশীদ

শ্রদ্ধার ফুলে সিক্ত স্মৃতিসৌধের বেদি

আটককৃতরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (৫০), আশুলিয়ার কলমা এলাকার মো. সোহেল পারভেজ (৪১)।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, লাল পতাকা হাতে অন্তত ৫০ জন লোক সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়।

আটকের পর পুলিশের গাড়িতে অবস্থানকালে আটককৃতদের একজন বলেন, ‍“আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের অবদান। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শায়েস্তাগঞ্জে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির অভিযোগে বুকিং সহকারী আটক
  • স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে আ.লীগের পক্ষে মিছিল, আটক ৩