রূপগঞ্জে জনৈক অস্ত্রধারী ব্যাক্তিকে জামায়াতে ইসলামীর লোক হিসেবে কয়েকটি ফেসবুকে প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান।  

বিবৃতিতে তারা বলেন, ছবিতে উল্লেখিত ব্যাক্তি জামায়াতে ইসলামী করা তো দূরের কথা আমাদের কোনো পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও জনশক্তির সাথে ন্যূনতম পরিচয় এবং সম্পর্ক নেই। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদ ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। এই সংগঠনের কোনো নেতা কর্মী কোনো প্রকার সন্ত্রাস বা অস্ত্রবাজীর সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। 

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা আমির ও সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আদর্শিক অগ্রযাত্রা এবং জনগণের মাঝে জামায়াতে ইসলামী দিন দিন জনপ্রিয় সংগঠনে পরিণত হওয়ায় একদল কুচক্রী মহল জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। অপপ্রচার বন্ধ না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দায়িত্বশীলগন।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, এই অস্ত্রধারীকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদেরকে আমরা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ ইসল ম স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

একই স্থানে টানা তিন দিন দুর্ঘটনা, আজ বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৮ জনের

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী পরিবহনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। তবে নিহতের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, একজন শিশু ও পাঁচজন পরুষ বলে জানা গেছে।  

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশ এখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী মতিন মিয়া বলেন, ‘চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী রিলাক্স পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। বেশ কয়েকবার চালক বাসটি থামানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারমুখী মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের আট যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন ৪ জন।
 
লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিসের লিডার রাখাল চন্দ্র রুদ্র জানান, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে একই স্থানে ঈদের দিন সোমবার দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। গতকাল মঙ্গলবার একই স্থানে দুইটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৮ জন আহত হন। 

স্থানীয়রা জানান, লবণবাহী গাড়ি থেকে পানি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় বারবার এ সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ