শপথ নিলেন দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা
Published: 20th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রেখা গুপ্তা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেন। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে এনডিটিভি বলছে, দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুসহ এনডিএ জোটের শীর্ষ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিন রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে কপিল শর্মা, পরবেশ ভার্মা, আশিস সুদ, মনজিন্দর সিং সিরসা, কপিল মিশ্র, রবীন্দ্র ইন্দ্ররাজ সিং এবং পঙ্কজ সিং শপথ নিয়েছেন।
জানা যায়, ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত রেখা একসময় সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেত্রী ছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পদের নির্বাচনেও জিতেছিলেন তিনি। তবে এই প্রথমবার বিধায়ক হলেন তিনি।
নয়াদিল্লি আসনে আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারানো প্রবেশ বর্মা বুধবার পরিষদীয় দলের বৈঠকে রেখার নাম প্রস্তাব করেন। ঘটনাচক্রে, ১৯৯৮ সালে দিল্লির ক্ষমতা হারানোর সময়ও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন এক নারী নেত্রী— সুষমা স্বরাজ।
উল্লেখ্য, ২৭ বছর পরে ফের দিল্লির ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। রাজ্যের ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে ৪৮টি আসনে। অন্যদিকে, টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর হেরে গেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তারা পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন।
কেজরিওয়াল নিজের নয়াদিল্লি কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ বর্মার কাছে হেরে গেছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারির গণপর্বের ১১ দিন পরে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখার নাম ঘোষণা করল ‘পদ্ম’ শিবির। সুষমা, শীলা দীক্ষিত, আতিশী মার্লেনার পরে দিল্লি পেলো চতুর্থ নারী মুখ্যমন্ত্রী।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র শপথ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে গাজার বাসিন্দা বললেন, ‘আমরা তো সব হারিয়েছি, ঈদটা কষ্টের’
ফিলিস্তিনের গাজায় রোববার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এ দিন ছিল না উৎসবের আমেজ। ঈদের দিনও সেখানে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মুসলিমদের কাছে খুশির এ দিনটিতেও গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে চলা হামলায় গাজায় আর কোনো মসজিদ অবশিষ্ট নেই বললেই চলে। রোববার তাই উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়েছে ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদের বাইরে। আগের দিনে গাজার যেসব শিশু নতুন পোশাক পরে আনন্দ করত, তারা এখন ক্ষুধায়-আতঙ্কে কাতর। ঈদ উপলক্ষে নেই তেমন রান্নার আয়োজন।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর আগে গাজার ফিলিস্তিনিরা ঈদের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্যাপন করতেন। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। বহু গাজাবাসী তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন। রোববার অনেককে দেখা যায় প্রিয়জনের কবরের পাশে। অনেকে হাজির হন হাসপাতালের মর্গে—শেষবারের মতো কাছের মানুষের মরদেহটি দেখতে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার বাসিন্দা আদেল আল-শায়ের তাঁর পরিবারের ২০ সদস্যকে হারিয়েছেন। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বলেন, ‘এই ঈদটা কষ্টের। আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষগুলোকে হারিয়েছি। আমাদের সন্তান, আমাদের জীবন, আমাদের ভবিষ্যৎ—সবকিছু... আমরা তো সব হারিয়েছি।’
ঈদের দিন স্বজনের কবরের পাশে গাজা নগরীর এক নারী