ছাত্র রাজনীতিকে ‘লাল কার্ড’ দেখালেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা
Published: 20th, February 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের ওপর স্বশস্ত্র হামলাকারীদের বহিষ্কার দাবি জানিয়ে রাজনীতি ও সন্ত্রাসীদের ‘লাল কার্ড’ দেখিয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে কুয়েটের উপাচার্যকেও লাল কার্ড দেখান তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা কুয়েটের দুর্বার বাংলা প্রাঙ্গণে ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় কুয়েটের দুর্বার বাংলায় স্থাপিত ভাস্কর্যের চোখে কালো কাপড় দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে ‘শিক্ষা আর সন্ত্রাস, একসাথে চলে না’, ‘আমার ভাইকে মারল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘কুয়েটে যখন রক্ত ঝরে, আবরার তোমায় মনে পড়ে’, ‘তুমি কে আমি কে, আবরার আবরার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে, সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে কুয়েটের বিভিন্ন সাইনবোর্ড, দেয়ালে লাল রং দিয়ে ‘রক্তাক্ত কুয়েট’সহ বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে গ্রাফিতি অঙ্কন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েটে কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হবে না। কুয়েট সাধারণ শিক্ষার্থীদের এবং এটি একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এখানে কেউ রাজনীতি করতে চাইলে তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ সময় বক্তারা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র মৈত্রীসহ সব ছাত্র সংগঠনের নাম উল্লেখ করে তাদের লাল কার্ড দেখানোর ঘোষণা দেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে আ.লীগের পক্ষে মিছিল, আটক ৩
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে একদল লোক আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করেছেন। এসময় উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দেয় এবং কয়েক জনকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ফিরে যাওয়ার সময় মিছিল করেন তারা।
হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, আনুমানিক সকাল ১১টার সময় ৫/৬ জন জাতীয় স্মৃতি সৌধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন। এমন অভিযোগে তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশ আটক করে।
আরো পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান: বজলুর রশীদ
শ্রদ্ধার ফুলে সিক্ত স্মৃতিসৌধের বেদি
আটককৃতরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (৫০), আশুলিয়ার কলমা এলাকার মো. সোহেল পারভেজ (৪১)।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, লাল পতাকা হাতে অন্তত ৫০ জন লোক সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়।
আটকের পর পুলিশের গাড়িতে অবস্থানকালে আটককৃতদের একজন বলেন, “আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের অবদান। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ