বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় টাঙ্গাইল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেনসহ ৩ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক মো. ফরহাদ কালাম সুজন তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আরো পড়ুন:

কারাগারে বসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, যা বললেন ফারুক খান

মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস, আরো ৫ বিএনপি নেতা কারামুক্ত

অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন সাদেক ঢালী ও বি-বাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো.

আবু মুসা আনসারী।

১৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা থেকে দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভাটারা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট রাজধানীর ভাটারার বারিধারা এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন মিঠুন ফকির। পরে আসামিদের ছোঁড়া ছিটা গুলিতে আহত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট বাসায় ফিরেন। এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর ভিকটিম মিঠুন ফকির ৮৮ জনকে এজাহারনামীয় ও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে ভাটারা থানায় মামলা করেন।

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কারখানা বন্ধের ঘোষণায় সাভারের সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে কারখানা বন্ধের ঘোষণায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। 

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে জিন্স ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির শ্রমিকেরা হেমায়েতপুর-সিংগাইর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের অনুরোধে অবরোধ প্রত্যাহার করে সড়কের পাশে অবস্থান নেন তারা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’র ভিত্তিতে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করার কারণে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিলেন।

আরো পড়ুন:

কালিয়াকৈরের সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ঈদের ছুটি বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের জন্য সব মিলিয়ে ৮ দিন ছুটি ঘোষণা করে। এর মধ্যে সরকারি ছুটি ব্যতীত বাকি দিনগুলোতে শ্রমিকদের অর্জিত এবং জেনারেল ডিউটির মাধ্যমে সমন্বয় করার কথা। মালিকপক্ষ তাদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত একদিন ছুটি দিয়েছে। শ্রমিকদের দাবি ৮ দিনের পরিবর্তে ১০ দিনের ছুটি। একইসাথে ঈদ উপলক্ষে চলতি মার্চ মাসের ২০ দিনের বেতন এবং ওভারটাইমের টাকাও পরিশোধের দাবি তোলেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, এসব দাবিতে গতকাল সোমবার কারখানার অভ্যন্তরে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা। এসময় মালিকপক্ষ কয়েকজন বহিরাগতকে কারখানায় প্রবেশ করালে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে এনিয়ে কারখানার অভ্যন্তরে হট্টগোল সৃষ্টি হলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের নামে একটি মামলা দায়ের করে বলেও দাবি করেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানাটির একজন সুইং অপারেটর বলেন, “মূলত ঝামেলা শুরু হয়েছে গতকাল। বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বসে ছিলেন। মালিকপক্ষ ৫/৬ জন বহিরাগতকে কারখানায় ঢোকালে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। পরে এটা নিয়ে একজন কর্মকর্তাকেও মারধর করা হয়, তিনি এখন হাসপাতালে আছেন যতদূর জানি। পরে আমাদের বলা হয়েছিল, আজ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে। কিন্তু সকালে আমরা কারখানায় এসে দেখি, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে কর্তৃপক্ষ। 

এবিষয়ে সকাল থেকে একাধিকবার ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সাভার মডেল থানার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন রিসিভ না করায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

কারখানাটি বন্ধের নোটিশে বলা হয়, এতদ্বারা জিন্স ম্যানুফ্যাকচারিং কো. লি. এর সব শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ফ্যাক্টরিতে কর্মরত কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিকের দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভাঙচুর, সহিংসতা ও মারামারি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করায় কোম্পানির সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা-১৩(১) অনুযায়ী জিন্স ম্যানুফ্যাকচারিং কো. লি.  ২৫ মার্চ থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

নোটিশে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে কারখানা খোলার অনুকূলে পরিবেশ সৃষ্টি হলে কারখানা খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ