মনোবিদ তথাগত চ্যাটার্জির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পর অনেক দিন নীরব ছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। গত বছরের শেষের দিকে তিনি জানান, নতুন করে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন।  

সেই সময়ে প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি ঋতাভরী। এরপর ছবি প্রকাশ করে ঘোষণা দেন— তার প্রেমিকের নাম সুমিত আরোরা। চলতি বছরের শুরুতে জানা যায়, প্রেমিক সুমিতের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়তে যাচ্ছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। এ নিয়ে আলোচনা হলেও মুখে কুলুপ আঁটেন এই অভিনেত্রী। অবশেষে বিয়ে নীরবতা ভাঙলেন ঋতাভরী।

আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, এ বছরই নাকি বিয়ে করছেন? জবাবে ঋতাভরী চক্রবর্তী বলেন, “এটা কেউ জানে না, আমিও না। কেউ সম্পর্কে থাকলে বিয়ের কথাবার্তা স্বাভাবিকভাবে আসেই। অনেক ওঠা-পড়ার পরও সম্পর্ক বজায় থাকলে বিষয়টা আরো বেশি হয়। আমাদের কয়েকবার ব্রেক-আপ হলেও ফের প্যাচ-আপ হয়েছে। তাই সম্পর্কটা এবার বিয়ের দিকে যাবে নাকি আরো একটা ব্রেক-আপ অপেক্ষা করছে, সেটা বলা মুশকিল। নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক হলে তা অবশ্যই জানাতাম।”

আরো পড়ুন:

প্রেমে পড়লেও বিয়ে করতে চাই না: শ্রীলেখা

সমাজের চোখরাঙানিতে কিচ্ছু যায়-আসে না: শ্রাবন্তী

এর আগে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানায়, চলতি বছরের ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর পরিকল্পনা করেছেন ঋতাভরী। বাঙালি ও পাঞ্জাবি মতে বিয়ে সারবেন এই অভিনেত্রী। বিয়ের অনুষ্ঠান হবে ঘরোয়াভাবে। তবে প্রীতিভোজের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণভাবেই করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ঋতাভরী।

ঋতাভরীর প্রেমিক সুমিত আরোরা বলিউডের ব্যবসাসফল সিনেমার সংলাপ রচয়িতা। এ তালিকায় রয়েছে শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’, শ্রদ্ধা কাপুরের ‘স্ত্রী’, সামান্থা রুথ প্রভুর ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’, কার্তিক আরিয়ানের ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ প্রভৃতি।

কিছু দিন আগে পা ভেঙেছে ঋতাভরীর। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। তবে আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো আছেন বলেও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  

‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকের মাধ‌্যমে টেলিভিশনে আত্মপ্রকাশ করেন ঋতাভরী। ২০১১ সালে ‘তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি।

২০১২ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তবু বসন্ত’। ঋতাভরী অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো— ‘চতুষ্কোণ’, ‘বারুদ’, ‘পরী’, ‘শেষ থেকে শুরু’, ‘বহুরূপী’ প্রভৃতি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে আ.লীগের পক্ষে মিছিল, আটক ৩

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে একদল লোক আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করেছেন। এসময় উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দেয় এবং কয়েক জনকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। 

বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ফিরে যাওয়ার সময় মিছিল করেন তারা। 

হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, আনুমানিক সকাল ১১টার সময় ৫/৬ জন জাতীয় স্মৃতি সৌধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন। এমন অভিযোগে তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশ আটক করে। 

আরো পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান: বজলুর রশীদ

শ্রদ্ধার ফুলে সিক্ত স্মৃতিসৌধের বেদি

আটককৃতরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (৫০), আশুলিয়ার কলমা এলাকার মো. সোহেল পারভেজ (৪১)।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, লাল পতাকা হাতে অন্তত ৫০ জন লোক সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়।

আটকের পর পুলিশের গাড়িতে অবস্থানকালে আটককৃতদের একজন বলেন, ‍“আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের অবদান। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ