‘ক্লাসরুম’ মাতাবে প্রীতম ও ব্যান্ড লালন
Published: 20th, February 2025 GMT
ঢাকার সায়েরা গার্ডেন রিসোর্টে উদযাপিত হতে যাচ্ছে ‘এসএসসি ২০০১ ব্যাচের দুই যুগ পূর্তি ও ঈদ পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠান। ১৮ এপ্রিল আবারও একসঙ্গে সুরের মূর্ছনায় মাতবে এসএসসি-২০০১ ব্যাচের ফেসবুক কেন্দ্রিক জনপ্রিয় গ্রুপ ‘ক্লাসরুম’র বন্ধুরা।
এদিন ‘ক্লাসরুম’ মাতাবেন উড়াধুরাখ্যাত সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান ও ব্যান্ডদল লাললের সুমি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আয়োজকরা জানান, এর আগেও ক্লাসরুমের বন্ধুদের মাতিয়েছেন নগরবাউল জেমস, তাহসান, ঐশী ও ডিজে রাহাত-মীর মাসুমসহ দেশের অনেক শিল্পী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার পহেলা বৈশাখের আমেজ নিয়ে ২০০১ ব্যাচের দুইযুগ পূর্তি ও ঈদ পূনর্মিলনী’তে চমক হিসেবে হাজির হচ্ছে প্রীতম হাসান ও ব্যান্ড লালন।
তারা আরও জানান, মূলত সব বন্ধু একত্রিত করতেই আবারও আমরা মিলিত হচ্ছি এক ছাদের নিচে। বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ-আড্ডায় এবার আমাদের সঙ্গী হবে সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান এবং সুমি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, ২ যুবককে কারাদণ্ড
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে দুই যুবককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন- নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের নগর গ্রামের কালু ঢালীর ছেলে জুয়েল ঢালী (২৫) এবং আবু বক্কর মেলকারের ছেলে সিয়াম মেলকার (২২)। তারা একই গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী পাপড়ি আক্তারকে নিয়মিত উত্ত্যক্ত করে আসছিল বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষার উদ্দেশে যাওয়ার পথে ফতেজঙ্গপুর এলাকায় অভিযুক্তরা পাপড়ির অটোগাড়ি থামানোর চেষ্টা করে। চালক গাড়ি না থামালে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
ঘটনার খবর পেয়ে পাপড়ির বাবা মো. বাচ্চু হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের বাধা দিলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম করে। তার নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
পরে ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) শিকদার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত বাচ্চু হাওলাদারকে উদ্ধার করে এবং পরদিন শুক্রবার তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
পরে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৬(১) ধারা এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৫০৯ ধারায় মামলা গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল অভিযোগ পড়ে শোনান এবং অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করলে দুই সাক্ষীর উপস্থিতিতে তাদের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়।
অবশেষে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯-এর ৭(২) ধারা অনুযায়ী উভয় আসামিকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং তাদের শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরবর্তীতে মামলা নিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়।