ঢাকায় বসবাসকারী সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষদের নিয়ে ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সামাজিক, অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার কার্যনির্বাহী পরিষদের (২০২৫-২৬) কমিটি গঠন ও কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পান্থপথে রংগন টাওয়ারে সমিতির কার্যালয়ে প্রকৌশলী আবুল কাশেমকে সভাপতি ও রেজাউল হক রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে এই কমিটি করা হয়। পরে সমিতির আগের কমিটি নব-কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন সহ-সভাপতি মো.

সামছুল আলম, অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবীর, ইকবাল মাসুদ, ব্যারিস্টার মো. ইমরুল হায়দার, শেখ রেজাউল করিম। অর্থ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম মেহেদী হাসান, মো. হুমায়ুন কবির। যুগ্ম অর্থ সম্পাদক মো. আফতাবুজ্জামান। সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মাজহারুল আনোয়ার, সম্পাদক সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন মো. শফিকুল ইসলাম (শফিক), শিক্ষা সম্পাদক প্রণব কুমার ঘোষ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আলমগীর হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মো. শাহিদুজ্জামান (রিপন), মুদ্রণ ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. তুহিনুজ্জামান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক ছাবিনা ইয়াসমিন মুক্তি, আশ্রয় ও সাহায্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ শরীফ উল্লাহ, সেবা ও চিকিৎসা সম্পাদক ডা. খুরশিদ উজ্জামান, কর্মসংস্থান সম্পাদক মুন্সী আব্দুর রাফেদ, আইন সম্পাদক মো. মকসুদ হাসান খান।

এছাড়া সদস্য কাজী সিদ্দীকুর রহমান, মো. আফসার আলী, আ. রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মো. মনিরুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম জয়তু, মোস্তফা বকুলুজ্জামান, মরিয়ম মনসুর, এস এম আব্দুল হালিম, সরদার নূরুল হুদা, মো. আতাউর রহমান, মো. আহসানুল্লাহ রাসেল, এস এম শরীফুজ্জামান ও আশুতোষ সরকার রাজ মনোনীত হন।

সবশেষে নব-কমিটির সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গোলাম রহমান।

ঢাকা/হাসান/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

প্লাস্টিক বোতল দিয়ে ‘শখের বাড়ি’ নির্মাণ করেছেন আলমগীর হোসেন

আলমগীর হোসেন পেশায় রাজমিস্ত্রি। কাজের সুবাদে দীর্ঘদিন ছিলেন বিদেশ। বছর দেড় আগে দেশে ফিরেছেন। বেশ কয়েকমাস আগে ইউটিউবে একটি ভিডিও চোখে পড়ে তার। ওই ভিডিওতে তিনি দেখেন, ইটের পরিবর্তে কোমল পানীয়ের বোতল দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা যায়। ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেও একটি বাড়ি নির্মাণের চিন্তা করেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন ভাঙারি দোকান ঘুরে বোতল সংগ্রহ শুরু করেন। কয়েক মাসের চেষ্টায় সংগ্রহ করে ফেলেন প্রায় ২৫ হাজার খালি বোতল। খরচ হয় সাড়ে ১২ হাজার টাকা। এরপর ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে হাত দেন বাড়ি নির্মাণকাজে।

আলমগীর হোসেন বলেন, বাড়িটিতে দুইটি বেড রুম, একটি করে বাথরুম ও টয়লেট আছে। শুরুতে সিমেন্টের পিলার দিয়ে অবকাঠামো তৈরি করা হয়। এরপর প্লাস্টিকের বোতলে বালু ও মাটি ভর্তি করে সিমেন্ট দিয়ে দেয়ালের গাঁথুনি করা হয়। ওপরে দেওয়া হয়েছে টিনের চাল। বাড়িটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে প্রায় দুই মাস।

খরচ সম্পর্কে তিনি বলেন, সিমেন্ট, বালু, কাঠ, বোতল ও মিস্ত্রির বেতন মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। তবে শুধু ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে খরচ পড়তো প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা।

শুক্রবার উপজেলার সরনজাই ইউনিয়নের মধ্য ভাগনা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আলমগীর হোসেনের বোতলবাড়ির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাড়িটির বাইরের দেয়ালে কোমলপানীয়ের বোতলের পেছনের অংশ আর ঘরের ভেতরের অংশে বোতলের মুখের অংশ রয়েছে। এ সময় বাড়িটি দেখার জন্য কয়েকজন যুবক এখানে আসেন।

বোতলবাড়ি দেখতে আসা মাহফুজুর রহমান বলেন, বাড়িটির কথা আগেই শুনেছিলাম। আজ দেখতে এলাম। প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি বাড়িটি দেখে অভিভূত হয়েছি। সব কাজ সম্পন্ন হলে আবারও আসব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিয়াকত সালমান বলেন, প্লাস্টিক পরিবেশ দূষণ করে। কিন্তু তানোরে সেই প্লাস্টিককে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে আলমগীর যে বাড়ি তৈরি করেছেন, তা অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসুন সবাই ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল
  • প্লাস্টিক বোতল দিয়ে ‘শখের বাড়ি’ নির্মাণ করেছেন আলমগীর হোসেন