চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব‌্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ভুল করলেন কিনা সেটা এখন বিরাট প্রশ্নের বিষয়। পাওয়ার প্লে’ শেষ হওয়ার আগেই স্কোরবোর্ডের যে চিত্র তাতে প্রশ্নবিদ্ধ তাদের ব‌্যাটিং অ্যাপ্রোচ। ৮.৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ৩৫। রোহিত শর্মা নবম ওভারের চতুর্থ বলে জাকের আলীর ক‌্যাচ মিস না করলে উইকেটের সংখ‌্যাটা আরো বাড়ত।

অধিনায়ক শান্ত যেখানে ব‌্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, রোহিত সেখানে বোলিং করতে চেয়েছিলেন। নিজের বোলারদের ওপর তার প্রবল আত্মবিশ্বাস আছে বোঝাই যাচ্ছে। নয়তো বাংলাদেশকে শুরুতেই এভাবে ভসিয়ে দেয় কিভাবে। পাঁচ ব‌্যাটসম‌্যানের তিনজনই খুলতে পারেননি রানের খাতা। সৌম‌্য সরকার প্রথম ওভারে উইকেটের পেছনে ক‌্যাচ দেন। দ্বিতীয় ওভারে শান্ত ক‌্যাচ দেন কাভারে। নবম ওভারে মুশফিক ক‌্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। তিনজনই আউট শূন‌্য রানে। তানজিদ তামিম আগ্রাসী ব‌্যাটিংয়ে আলোর আলো দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। আর মিরাজ ৫ রানেই ফেরেন সাজঘরে।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুতে এমন বিপর্যয়ে পড়বে কতজনই বা ভেবেছিলেন? তবে এর চেয়েও বাজে শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটাও চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ২০০২ চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কলম্বোর এসএসসি মাঠে নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর ১০ ওভারে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়েছিল ৪৪ রানে।

আরো পড়ুন:

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের যাত্রা

ভারতকে হারানোর মন্ত্রে মাঠে নামবে বাংলাদেশ

চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথম ১০ ওভারে সবচেয়ে বাজে শুরুর রেকর্ডটা বাংলাদেশ নিজেদের দখলেই রেখেছে। ২০০৪ সালেও প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাউদাম্পটনে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়েছিল ২৬ রানে। এবার ৩৯ রানে নেই ৫ উইকেট। ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে দলের রান এরই মধ‌্যে শতরান পেরিয়ে নিয়ে গেছেন জাকের আলী ও তাওহীদ হৃদয়। শূন‌্য রানে জাকের ও ২৩ রানে তাওহীদ জীবন পেয়েছেন। দ্বিতীয় জীবনে তাদের ব‌্যাট কতদূর যায় সেটাই দেখার।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক বললেন `ঈদ মোবারক` 

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

আজ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় অটোরিকশা চালক ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, “এ আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম সহযোগী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।”

পলকের পক্ষে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। 

শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এরপর তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সবার উদ্দেশ্য বলেন, “ঈদ মোবারক।” পরে পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। তখন তিনি নিশ্চুপ ছিলেন।  

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা ফ্লাইওভারের কাছে গুলিবিদ্ধ হন ওবায়দুল ইসলাম। মিটফোর্ড হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মরিয়ম ৮ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা করেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ