বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। 

উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘যদিও বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের মধ্যে কিছু টানাপোড়েন রয়েছে, তবুও দুই দেশের মধ্যে ভালো ও কার্যকরী সম্পর্ক বজায় রাখতে সম্মত রয়েছে দুই পক্ষ।’’

শিগগিরই ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আলোচনা হয়নি, তবে এই বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ রয়ে গেছে।’’

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নানা প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই।’’

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কটে ‘ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স’-এ যোগ দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেন। সম্মেলনের সাইডলাইনে তিনি ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।

ঢাকা/হাসান//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনাবিরোধী জনরোষ সম্পর্কে অবগত ছিল ভারত: জয়শঙ্কর

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে বাংলাদেশে হাসিনাবিরোধী জনরোষ তৈরি হওয়ার ব্যাপারে ভারত অবগত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যদের শনিবার এই কথা জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। তবে, শেখ হাসিনার ওপর পর্যাপ্ত প্রভাব না থাকায় 'পরামর্শ' দেওয়া ছাড়া ভারত তেমন কিছু করার পরিস্থিতিতে ছিল না বলেও পার্লামেন্ট সদস্যদের জানান তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনার জন্য জয়শঙ্করের সঙ্গে ওই বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, জয়শঙ্করের ইঙ্গিত ছিল, অন্যান্য প্রধান অংশীদারদের মতো বাংলাদেশের ভেতরের উত্তাল পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারত অবগত ছিল। এ প্রসঙ্গে, তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি সম্প্রতি বিবিসির এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশে জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে দমন–পীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ।

'আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করি, যদি তারা এতে জড়িত হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়ত আর শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ থাকতে পারবে না,' বলেন ভলকার টুর্ক।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনাকে সহিংসভাবে উৎখাত করা হয়
  • হাসিনাবিরোধী জনরোষ সম্পর্কে ভারত জানত, কিন্তু তেমন কিছু করার ছিল না, বললেন জয়শঙ্কর
  • হাসিনাবিরোধী অভ্যুত্থান সম্পর্কে জানলেও ভারতের কিছু করার ছিল না: জয়শঙ্কর
  • হাসিনাবিরোধী অভ্যুত্থান সম্পর্কে জানলেও কিছু করার ছিল না ভারতের: জয়শঙ্কর
  • হাসিনাবিরোধী জনরোষ সম্পর্কে অবগত ছিল ভারত: জয়শঙ্কর
  • মোদি–ইউনূস বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ বিবেচনা করা হচ্ছে: জয়শঙ্কর
  • ডলারের শক্তি খর্ব করবে না ভারত, থাকবে না ব্রিকস মুদ্রার উদ্যোগে: এস জয়শঙ্কর