উত্তরায় প্রকাশ্যে কোপানোর মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্য কারাগারে
Published: 20th, February 2025 GMT
ঢাকার উত্তরায় প্রকাশ্যে দুজনকে কোপানোর মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. দ্বীন ইসলাম দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.
১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গতকাল বুধবার মো. আলফাজ মিয়া ওরফে শিশির (২২), সজীব (২০) এবং মেহেদী হাসান সাইফ (২৪) নামে কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জানা গেছে, কিশোর গ্যাং গ্রুপটির সদস্যরা ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে উচ্চশব্দে মোটর সাইকেলের হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রিকশা থেকে মকবুল হোসেন এবং ইফতি প্রতিবাদ করেন। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ফোন করে তাদের বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জনকে ডেকে এনে মকবুল হোসেনের ওপর চড়াও হন। এ সময় ইফতি ঢাল হয়ে দাঁড়ালে তিনিও আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাসরিন আকতার ইফতি বাদী হয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা ও জলপাই রঙের শার্ট পরিহিত দুই যুবক একজন পুরুষ ও তার সঙ্গে থাকা এক নারীকে রামদা দিয়ে কোপাচ্ছে। এ সময় জীবন বাঁচাতে ওই নারীকে হাত জোড় করে সন্ত্রাসীদের কাছে মাফ চাইতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঢাকা/মামুন//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রজাপতির ভাষা
পিপি, ছোট্টমোট্ট প্রজাপতি। সে তার দাদুর কাছে শুনেছে, প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে মানুষ ফুল দেয়। ছোট পুঁচকেরাও আসে। খালি পায়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। তাই ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই তার অপেক্ষা। তার দাদু বলে, এতো অপেক্ষা কেন রে তোর পিপি? পিপি কথা বলে না। বুড়ো মানুষের মতো মুখ টিপি হাসে। দাদু বলে, আয় তোকে ভাষা আন্দোলনের গল্প শোনাই। এ গল্প শুনে শুনেই তুই জানবি নানা কথা। পিপি বললো, একুশে ফেব্রুয়ারিতে কী হয়েছিলো, বলো তো?
‘ভাষা আন্দোলন।’ দাদু জবাব দেয়।
‘এই দিনটিকে কী বলা হয়?’
‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।’
‘বলো তো, ভাষা আন্দোলন কী?’
‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন। ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করেছিলো। বাংলাদেশের মানুষ করেছিলো। কারণ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা হচ্ছিলো। তখন এ দেশের নাম ছিলো পূর্ব পাকিস্তান। আমরা পরাধীন ছিলাম।’
‘ভাষা আন্দোলনটা কীভাবে হলো?’
‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার দাবিতে মিছিল হয়। সেই মিছিলে পুলিশ গুলি করে। সেই গুলিতে শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও অনেকে।’ পিপি একটু অবাক হলো। বললো, ‘দাদু, তুমি তো সবই জানো দেখছি।’
‘জানবো না? আমরা তো সেই কবে থেকে এখানেই বসবাস করি।’ পিপি বলে, সে জন্যই তো একুশে ফেব্রুয়ারির অপেক্ষা করছি!
বয়স : ১+২+২+৩+৪ বছর; সপ্তম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা