‘গালফ ফুড’-এ সিটি গ্রুপের পণ্য প্রদর্শন
Published: 20th, February 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী ‘গালফ ফুড-২০২৫’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বস্ত ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারক সিটি গ্রুপ। বিস্তৃত পণ্যসম্ভার নিয়ে কোম্পানিটি উদ্ভাবন, গুণগত মান ও বৈশ্বিক উপস্থিতি বৃদ্ধির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরছে।
২০১৪ সাল থেকে সিটি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে তাদের রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে এবং বর্তমানে ৩০টির বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে। গালফ ফুড-২০২৫ কোম্পানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নতুন অংশীদার ও গ্রাহকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ তৈরি হবে, পাশাপাশি বৈশ্বিক ভোক্তাদের চাহিদা পূরণের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হবে।
এ বছর সিটি গ্রুপ তিনটি মূল পণ্য বিভাগে গুরুত্ব দিচ্ছে—১.
২. বিশ্বমানের চা: বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম চা–বাগান থেকে সংগৃহীত সেরা মানের চা সরবরাহ করছে সিটি গ্রুপ। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে রপ্তানির পাশাপাশি গালফ ফুড-২০২৫-এ কোম্পানিটি তাদের বিশ্বব্যাপী চা বিতরণ আরও সম্প্রসারণ করতে চায়।
৩. বিস্তৃত রপ্তানি পণ্য পরিসর: সিটি গ্রুপ বিভিন্ন উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করছে, যা বৈশ্বিক ভোক্তাদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে সক্ষম।
দুবাইয়ে পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজনে সিটি গ্রুপের বিস্তৃত পণ্যসম্ভার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বৈশ্বিক উপস্থিতি তুলে ধরছেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিঙ্গা শিবিরে পানির সংকট তীব্র: এমএসএফ
কক্সবাজারে টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন রোহিঙ্গারা জনপ্রতি ১০ লিটার করে পানি পাচ্ছেন। এই পরিমাণ পানি জীবনধারণের প্রয়োজনের অর্ধেক। সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল বলেছে, পানি সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্তবিহীন চিকিৎসক দল বা মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স (এমএসএফ) টেকনাফে চলমান এই সংকটের কথা বলেছে। পাশাপাশি এমএসএফ জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এসএমএফ বলেছে, উদ্বেগজনক হারে সংরক্ষণব্যবস্থা কমে আসায় পানির সংকট আরও কঠিন হয়েছে। টেকনাফ মূলত মজুদকৃত পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই বছর আশঙ্কাজনক হারে মজুদকৃত পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশে এমএসএফ-এর মিশন প্রধান আন্তোনিও কারাডোনা বলেন, ‘পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগজনক। টেকনাফে প্রতিদিন জনপ্রতি ১০ লিটার পানি পাওয়া যায়, যা একজন মানুষের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ক্যাম্পজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নানা রোগের ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব থেকেই এই সংকটের তীব্রতা স্পষ্ট।’
নূর আলম নামের একজন রোহিঙ্গা তাঁর কষ্টের কথা এমএসএফকে শুনিয়েছেন। নূর আলম বলেন, ‘আমরা বছরের পর বছর ধরে পানিসংকট তীব্র হতে দেখছি, এখানে সাহায্য–সহযোগিতাও অনেক সীমিত। অনেককেই বাধ্য হয়ে অনেক দূরে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পানি আনতে হয়, যা অনেক বেশি সময়সাপেক্ষও।’
এমএসএফ বলেছে, জরুরি সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকা, প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহব্যবস্থা আরও উন্নত ও দ্রুত করার সুযোগ আছে। কলেরার মতো পানিবাহিত রোগসহ নানাধরনের চর্ম রোগের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি হ্রাস এবং ক্রমবর্ধমান অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এমএসএফ একটি বোরহোল, একটি পানি সংরক্ষণ ও সরবরাহ সেবা শুরু করেছে এবং ক্যাম্পে ট্রাকের মাধ্যমে পানি সরবরাহ সেবা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। এই জরুরি পদক্ষেপগুলো যদিও এ সংকটের সাময়িক সমাধান দেয়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী ও পর্যাপ্ত নয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ ও দাতাসংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই পানি সরবরাহে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এমএসএফ। পাশাপাশি দায়িত্বশীল অংশীদারদের কাছে জবাবদিহি ও সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা বলেছে তারা।