দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলের ২ রানে ফিরে যান সৌম্য সরকার ও নাজমুল শান্ত। পরেই ফিরে যান চারে নামা মেহেদী মিরাজ। এরপর আশা দেওয়া তানজিদ তামিম ও মুশফিকুর রহিম পরপর আউট হলে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলীর ব্যাটে ওই ধাক্কা কিছুটা সামলে দলের রান একশ’ ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ২৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করেছে। পাঁচে নামা হৃদয় ৩৪ ও সাতে নামা জাকের ৩৪ রানে খেলছেন।
একাদশে তিন পেসার এবং দুই স্পিনার নিয়ে নামছে বাংলাদেশ। একাদশে তিন পেসার তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। দুই স্পিনার হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রিশাদ হোসেন। একাদশে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে রাখেনি বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলেননি তিনি। বাংলাদেশ একাদশে আরেকটি চমক বলা যায় নাহিদ রানার অনুপস্থিতি। ম্যাচের আগে তরুণ গতিময় পেসারকে নিয়ে হয়েছে অনেক আলোচনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদিপ যাদব, মোহাম্মদ শামি এবং হর্ষিত রানা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন, ঢাকার রাস্তায় আটকে গেলেন পার্থ বড়ুয়া
২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল সোলস ব্যান্ডের ৫০ বছর পূর্তির পথচলা। এরপর দেশে ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি স্টেজ শোতে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। ৫০ বছর পূর্তির এই আয়োজন এখনো চলছে। চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা ব্যান্ড সোলস এবার তাদের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান চট্টগ্রামেও করতে যাচ্ছে। আগামী ২ মে চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেলে গাইবে সোলস।
এ উপলক্ষে আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের একটি তারকা হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সোলসের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও শেষ মুহূর্তে থাকতে পারেননি পার্থ বড়ুয়া। ঢাকার রাস্তায় তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকার পর বাসায় ফিরে যেতে হয় পার্থ বড়ুয়াকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রথম ব্যাচের তিন শিক্ষার্থী সাজেদ, সুব্রত বড়ুয়া ও আহমেদ নেওয়াজ। এর বাইরে ছিলেন দুলু ও তপন চৌধুরী—এই পাঁচজন মিলে শুরুর দিকের ব্যান্ড সোলস। সেই সময়ের কথা মনে করে আহমেদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে জানান, শুরুতে সোলস ভেঙে যায়। এরপর তাঁরা আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন নিজেদের মতো। সোলসের কিছু ইনস্ট্রুমেন্ট নিজেরাই কিনে ফেলেন। তখন সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হন। রনি, আহমেদ নেওয়াজ, সাজিদ। এরপর আবার শুরু করেন। এসব ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরের ঘটনা।
এই বছরে ৩ আগস্ট চারুকলা অনুষদের যাত্রা শুরু। তপন, দুলু আর রনির বাসা ছিল একই জায়গায়। কথা প্রসঙ্গে জানা গেছে, সোলস ব্যান্ড করার অনুপ্রেরণা হচ্ছে লাইটেনিংস। চট্টগ্রামের সংগীত ভবনের ওপরতলায় লাইটেনিংস নামে একটা দল ছিল, যারা বিটলসকে অনুসরণ করত। বিটলস যা যা ইনস্ট্রুমেন্টস ব্যবহার করত, লাইটেনিংস সবই করত। সোলসের সবাই তখন অদ্ভুতভাবে তাকিয়ে থাকত, এত বিউটিফুল সাউন্ড কোথা থেকে আসছে। ওখান গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত। এরপর আস্তে আস্তে নিজেরা সংগঠিত হতে থাকে। ছোট ছোট বিয়ের অনুষ্ঠান ও হোটেলের অনুষ্ঠানে গান গাইতে থাকে। এভাবেই শুরু সোলসের যাত্রা।
সংবাদ সম্মেলনে