গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার দেলোয়ার হোসেন (৪৫) পাটগাতী গ্রামের মৃত ফহম শেখের ছেলে।

আরো পড়ুন:

টেকনাফে ২ লাখ ইয়াবাসহ ৭ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার

সিংড়ায় আ.

লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকায় যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এ্যন্ড কলেজের সামনের আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ করা বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বাধে তাদের। এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে সাফায়েত গাজী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ। তখন পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ১০৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪৫০ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানা মামলা করেন এসআই রাব্বি মোরসালিন।

ঢাকা/বাদল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, ৭ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার 

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সাত ঘণ্টার মধ্যে তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উপজেলার স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান জানান। 

গ্রেপ্তার করা আসামি হলেন উপজেলার স্বজনগ্রামের হারিছ মিয়ার ছেলে আশিক মিয়া।

জানা গেছে, স্বজনগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক মিয়াসহ পুলিশ সদস্যরা রবিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে আশিককে গ্রেপ্তার করেন। পরে স্থানীয় একদল লোক পুলিশ সদস্যদের হামলা করে হাতকড়া পরা অবস্থায় আশিককে ছিনিয়ে নেয়।

হামলায় এসআই ফারুক মিয়া, কনস্টেবল অরবিন্দু রায়, রমজান মিয়া, সাদিকুল ইসলাম ও ইকবাল মিয়া আহত হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় শওকত আকবর, স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম, আইনজীবী সাকিউল আলম সানী ও হারিছ মিয়াসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে লাখাই থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এএনএম সাজেদুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা লাখাই থানায় যান এবং রাত ১১টার দিকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে হাতকড়াসহ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে এসপি এএনএম সাজেদুর রহমান বলেন, “হাতকড়াসহ আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে সাত ঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

আসামী ও ছিনিয়ে নেওয়া লোকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কি না? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত সে রকম কিছু জানা যায়নি। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ঢাকা/মামুন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফরিদপুরে ‘হেলমেট বাহিনীর’ প্রধান কাওসার সহযোগিসহ গ্রেপ্তার
  • বগুড়ায় দুই তরুণকে অপহরণ: পুলিশের গোয়েন্দা শাখার আরও এক সদস্য গ্রেপ্তার
  • হাইওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ডিবির ৫ সদস্য
  • বগুড়ায় দুই তরুণকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ডিবির ৫ সদস্য আটক
  • পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, ৭ ঘণ্টা পর গ্রেপ্তার 
  • দেশেই আন্তর্জাতিক ডিগ্রির সুযোগ